আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা পুরসভা, কলকাতা পুলিশ এবং টাউন ভেন্ডিং কমিটির হকার নেতৃত্বরা অভিযানে যাবেন। আদালতের নির্দেশে পাঁচতারা হোটেলের প্রধান ফটকের দুদিকে পাঁচ ফুট করে ছেড়ে বসতে হবে হকারদের। সমস্ত হকারকে কীভাবে পুনর্বাসন দিতে পারে পৌরসভা, সেটাই এখন চ্যালেঞ্জের।
আরও পড়ুন: এবার পোষ্যকে নিয়েই উপভোগ করুন রেস্তোরাঁর মজা! সঙ্গে থাকবে আরও নানা চমক
advertisement
বুধবার কলকাতা পুরসভায় টাউন ভেনডিং কমিটির (টিভিসি) বৈঠক হয়। কীভাবে হকার নিয়ন্ত্রণ অভিযান হবে, তার রূপরেখা নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়েছে। শহরের হকার পুনর্বাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারও বৈঠকে ছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশ ও পৌরসভার সঙ্গে ডাউন ব্যান্ডিং কমিটি আজ দুপুরে ধর্মতলায় হকার নিয়ন্ত্রণ অভিযান চালাবে।
পুরসভা সূত্রে খবর, টিভিসির কাছে ২০১৫ সালের যে রেকর্ড রয়েছে, তাতে ওই জায়গায় ১১৬ জন হকার নথিভুক্ত রয়েছে। সেই তালিকা নিয়েই প্রাথমিকভাবে নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু হবে। ওই তালিকাভুক্ত হকারদের ফের নিয়ম মেনে ব্যবসা করতে বলা হবে। ফুটপাতের এক তৃতীয়াংশেই করতে হবে স্টল।
আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ‘মিনি আন্দামান’! কলকাতার খুব কাছেই, পারদ নামতেই উপচে পড়ছে পর্যটকদের ভিড়
হকারদের অনেকেই জানিয়েছেন, ফুটপাতের এক দিকে বসতে হলে নথিভুক্ত ১১৬ জনকেই জায়গা দেওয়াই কঠিন। সেখানে এই তালিকার বাইরেও অনেক হকার রয়েছেন। অন্যদিকে, পুরসভার ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে তালিকার বাইরে যেসব হকার রয়েছেন, তাঁদের আপাতত সেখান থেকে উঠিয়ে দেওয়া হবে। ওই এলাকার আশেপাশে ধর্মতলাতেই অন্যত্র পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে প্রশাসন।
হাইকোর্টের নির্দেশের কথা মাথায় রেখে পুজোর আগেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। অবশেষে সেই সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন করতে চলেছে প্রশাসন।কলকাতা পুরসভার হকার বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত ঈশ্বর দেবাশীষ কুমার বলেন ২০১৫ সালের নথিভুক্ত ১১৬ জন হকারকে ওই ফুটপাতে বসতে দেওয়া হবে। তবে তাদেরকে হকার আইন মেনেই ব্যবসা করতে হবে। কলকাতা পুলিশের সঙ্গে পৌরসভা ও টাউন কমিটি বৃহস্পতিবার বেলা দুটো নাগাদ পরিস্থিতি পরিদর্শন করবেন।
টিভিসির সদস্য শক্তিমান ঘোষ বলেন, “হোটেলের সামনে হকারদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে জায়গা দখল ও বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ রয়েছে। তবে সেটা ঠিক নয়। হকাররা বিল দেন। সেই তথ্যও আমরা দিয়েছি আদালতে। নথিভুক্ত হকারদের পাশাপাশি অনেক বেশি হকার রয়েছে ওই এলাকায়। তালিকার বাইরে থাকা হকারদের কাউকেই উচ্ছেদ করা হচ্ছে না। আইন অনুসারে বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে।”