আরামবাগের এক রোগীর আত্মীয়, শেখ নওশাদ আলি জানান, তাঁর এক আত্মীয়ের প্রসব হওয়ার পর,পুরুষ নার্স ৫০০ টাকা চেয়েছিল অপারেশন থিয়েটারের বাইরে বাচ্চা বের করার জন্য। তিনি দিতে পারেননি বলে তাকে বাচ্চা দেবে না বলেছিল। তারপর চিৎকার চেঁচামেচি করার পর অবশ্য বাচ্চার মুখ দেখতে দেয়। এছাড়া স্যালাইনের চ্যানেল খোলা থেকে আরম্ভ করে ড্রেসিং, সব কিছুতেই টাকা লাগে। এরকম ভুঁড়ি ভুঁড়ি অভিযোগ রয়েছে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইডেন ভবনের প্রসূতি বিভাগের বিরুদ্ধে।
advertisement
আরও পড়ুন: সারা কোচবিহার ভিড় করেছে 'এক কাপ চা'-এ! জমে উঠেছে আড্ডাও
এমনকী কুড়ি,পঞ্চাশ, একশ টাকা তো দিতেই হয়। সরকারি হাসপাতালে প্রতিটি পদেই টাকা লাগে বলে অভিযোগ রোগীর বাড়ির আত্মীয়দের। এই অভিযোগে শনিবার রীতিমতো উত্তাল হয়ে ওঠে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওই বিভাগের সামনে। প্রত্যেকেই প্রান্তিক পরিবার থেকে এসেছেন। বেশির ভাগের বাড়ি কলকাতা থেকে অনেক দূরে। মহম্মদ কালাম মোল্লা (রোগীর আত্মীয়) বলেন, 'হাসপাতাল সুপারের কাছে আমরা অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলাম। আমাদের বলেছেন, এই ভাবে আয়া রাখা যায় না। আমাদেরকে লিখিত অভিযোগ জানাতে বলেছেন। আমরা একটা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।'
আরও পড়ুন: ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত চারিদিকে, মশা কাদের বেশি কামড়ায় জানেন? সতর্ক থাকুন
তবে কালামও হাসপাতালের ওই বেনিয়মের শিকার হয়েছেন বলে জানান।এক মহিলা বলেন, তিনি লোকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। বৌমাকে এই হাসপাতালে ভর্তি করে রীতিমতো বিপদে পড়েছেন। তিন দিন টাকা দিয়েছেন। তারপর থেকে আর টাকা দিতে পারছেন না। যার ফলে আয়াদের রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে। এই বিষয় হাসপাতালের এক আধিকারিকের কাছে জানতে চাইলে, তিনি জানান, ওই ভাবে আয়া রাখার কোনও নিয়ম নেই। কেউ টাকার জন্য জোর করতে পারেন না।