Cooch Behar News: সারা কোচবিহার ভিড় করেছে 'এক কাপ চা'-এ! জমে উঠেছে আড্ডাও
Last Updated:
কোচবিহার শহরতলি লাগোয়া তোর্সা নদীর প্রতিমা নিরঞ্জন ঘাটের পাশেই খুলে ফেলা হয়েছে আস্ত একটি চায়ের দোকান।
#কোচবিহার: সূর্যাস্তের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে গরম চায় চুমুক দেওয়ার কথা মাথায় আসে সকলের। আর সেই বিষয়টি রীতিমতো বাস্তব করে তুলেছে কোচবিহারের কয়েকজন মানুষ। কোচবিহার শহরতলি লাগোয়া তোর্সা নদীর প্রতিমা নিরঞ্জন ঘাটের পাশেই খুলে ফেলা হয়েছে আস্ত একটি চায়ের দোকান।
দোকানের নাম 'এক কাপ চা'। চারিপাশ খোলা এই দোকানে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের চা। আর এই গরম চায়ের স্বাদ নিতে নিতেই যে কেউ উপভোগ করতে পারবেন তোর্সা নদীর অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। তবে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সব সময়েই মানুষের আনাগোনা চোখে পড়ছে এই দোকানের মধ্যে।
আরও পড়ুন: ডিটক্সে তেঁতো পানীয় নয়, পান্তা-দই ভাত-খিচুড়ি শরীরের বিষ দূর করবে! জানুন
কোচবিহার শহর জুড়ে প্রচুর চায়ের দোকান থাকলেও এ যেন একটু অন্য রকম। শুধুমাত্র চা তো বহু জায়গায় পাওয়া যায়। তবে চা এর স্বাদ নিতে নিতে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগের বিষয় তো আর সব জায়গায় পাওয়া যায় না। তাই এই দোকানের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে কোচবিহারের বাসিন্দাদের। অনেকেই তো চলার পথে এত সুন্দর একটি চায়ের দোকান পেয়ে ঢুকে পড়ছেন চায়ের স্বাদ নিতে। এমনই একজন ব্যক্তি জয়ন্ত মৈত্র জানান, "আমি তো কাজের জন্য এই এলাকা দিয়ে যাতায়াত করি। তবে এখানে একটি চায়ের দোকান দেখলাম নতুন খুলেছে। তবে জায়গাটা দারুণ। তাই না দাড়িয়ে আর পারলাম না। চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার বিষয়টি কে মিস করতে চায়।"
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত চারিদিকে, মশা কাদের বেশি কামড়ায় জানেন? সতর্ক থাকুন
তবে কোচবিহারের এই চায়ের দোকান একদম সাধ্যের মধ্যেই চায়ের দাম রেখেছে। মাত্র ১০ টাকা মূল্যে মাটির ভাড়ে চা পাবেন এখানে। এছাড়া তার চাইতে কম দামের মধ্যেও চা রয়েছে এখানে। সব মিলিয়ে সকলের সাধ্যের মধ্যেই এই চায়ের দোকান খুব সহজেই সকলের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে এমনটাই আশা রয়েছে। তবে গরম চায়ের মধ্যে চুমুক দিয়ে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে একবার আসতেই পারেন এই চায়ের দোকানে।
advertisement
দোকানের এক কর্ণধার দেবাশিস অধিকারী বলেন, "এই এলাকায় সন্ধে নামলেই সমাজ বিরোধীদের দৌরাত্ম্য বাড়ছিল দিন দিন। তা ছাড়াও এলাকায় নোংরা আবর্জনা ফেলা হচ্ছিল। তাই আমরা এই দোকানের বিষয় নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু করি। যাতে এলাকার অবস্থা ঠিক রাখা সম্ভব হয়। তবে আমাদের দোকানের মধ্যে আরোও কিছু কাজ বাকি রয়েছে। এখানে প্রচুর বই এবং পত্রিকা নিয়ে আসা হবে। যাতে এখানে বসে কেউ বই পড়তে চাইলে বই কিংবা পত্রিকা পড়তে পারেন।"
advertisement
সার্থক পণ্ডিত
Location :
First Published :
November 10, 2022 5:10 PM IST