দ্বিতীয় বারের জন্য কলকাতা পুরসভার মেয়র পদে বসে ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) কাছে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ এটাই। কলকাতার দৃশ্যদূষণ ঠেকাতে শীঘ্রই বিজ্ঞাপন-নীতি আনতে চলেছে পুরসভা। রাজনৈতিক হোর্ডিংয়েও কড়া পুরসভা। নির্দিষ্টকর্মসূচি শেষ হওয়ার তিনদিনের মধ্যে সব রাজনৈতিক দলকে তাদের হোর্ডিং, ব্যানার, ফ্লেক্স সরিয়ে ফেলতে হবে। না খুলে ফেললে পুরসভার তরফে তা খুলে ফেলা হবে। খোলার খরচ বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলকে, জানালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Kolkata New Advertisement Rules)।
advertisement
আরও পড়ুন: ২০২৪-এর মধ্যে বিরাট লক্ষ্য সরকারের! ঘোষণা রাজ্য বাজেটে, বহু মানুষ হবেন উপকৃত
ব্যাঙের ছাতার মতো শহরের যত্রতত্র হোডিংয়ে দৃশ্য দূষণ ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ।সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, '' কলকাতার দৃশ্য দূষণ আটকাতে নির্বাচন কমিশনের উচিত রাজনৈতিক ব্যানার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে দেওয়া''। সিপিআইএম নেতা দৃশ্য দূষণ ঠেকাতে পুরসভার পদক্ষেপ প্রসঙ্গে সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও মেয়রকে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি। সুজনবাবুর বক্তব্য, '' সত্যিই শহরজুড়ে যেভাবে বিজ্ঞাপনী হোডিং ও অন্যান্য হোডিং, ফ্লেক্সের সংখ্যা বেড়েই চলেছে তাতে তিলোত্তমার আজ মুখই দেখা যায় না। নানান বিজ্ঞাপনী হোডিং-এর পাশাপাশি রাজনৈতিক হোডিং তো শুধু দিদি আর দাদার ( মোদী ও মমতা) ই রয়েছে।'' সুজন চক্রবর্তীর প্রশ্ন, '' ফিরহাদ হাকিম পারবেন তো সেই অনুপ্রেরণাময় দিদির দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে? শুধু রাজনৈতিক হোর্ডিং নয়, এবার অন্য বিজ্ঞাপনের মুখোশও সরাবে কলকাতা।''
শহরের দৃশ্য দূষণ আটকাতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে পুরসভা। পুরোনো বাড়িতে হোর্ডিং নয়, দৃশ্য দূষণ কমাতে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে জোর দেওয়া হবে বলেও জানান মেয়র। বেআইনি হোর্ডিংয়ের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে পুরসভা। পাশাপাশি আলিপুর ও ভিক্টোরিয়া এলাকাকে 'হোর্ডিং-ফ্রি' জোন করার ভাবনা কলকাতা পুরসভার। কোন রাস্তায়, কতগুলি বিজ্ঞাপন থাকবে, ঠিক করবে পুরসভা। নজর রাখা হবে নিয়ম মেনে বিজ্ঞাপন লাগানো হচ্ছে কি না। ঝুলতে থাকা ছেঁড়া-ফাটা হোর্ডিং, একটার ওপর একটা উঠে যাওয়া ফ্লেক্স সরিয়ে সুন্দরী হবে শহর। নিয়ম মানা বিজ্ঞাপনে, কমবে দৃশ্য দূষণ, এমনটাই আশ্বাস খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিমের।
