আরও পড়ুন: পুরভোটে সব বুথ, স্ট্রংরুমে সিসিটিভি-র নজরদারি, কমিশনকে নির্দেশ হাইকোর্টের
মঙ্গলবার শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ত্রিপুরা পুরভোটের প্রসঙ্গে টেনে বলেন, ‘‘ত্রিপুরাতেও পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force In WB Civic Poll) মোতায়েন ছিল। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে ভোট পরবর্তী হিংসার খবর আমাদের কারও চোখ এড়ায়নি।’’ তাঁর সওয়াল, ‘‘ত্রিপুরার ক্ষেত্রে সেখানকার রাজ্য নির্বাচন কমিশন নিজেই চেয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের (Kolkata Municipal Election 2021) নির্বাচন কমিশন এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী চায়নি। উল্টে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট করাতে যথেষ্ট তৎপর। পুলিশও তৎপর রয়েছে।’’
advertisement
আরও পড়ুন: রবীনকে প্রণাম, সুজনের সঙ্গে করমর্দন কুণালের! রবিবাসরীয় বিকেল দেখল 'ব্যতিক্রমী দৃশ্য'...
প্রসঙ্গত, বিজেপি-র আইনজীবী আদালতে দাবি করেছিলেন, তাদের চার জন প্রার্থীকে মনোনয়ন পেশ করতে বাঁধা দিয়েছে তৃণমূল। অ্যাডভোকেট জেনারেল দাবি করেন, চার জনকে প্রার্থী হতে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ করছে বিজেপি। পুলিশকে অভিযোগ করা হলেও তারা কোনও পদক্ষেপ করেনি, এটার কোনও প্রমাণ কি বিজেপি দিতে পেরেছে?
আরও পড়ুন: ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যেই রাজ্যে বাড়ল করোনা মৃত্যু! উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কলকাতার পরিসংখ্যান...
সিনিয়র আইনজীবী এস কে কাপুর বিজেপির হয়ে সওয়াল শুরু করেন মঙ্গলবার। সওয়াল চলাকালীন তিনি জানান, কলকাতা পুলিশের কমিশনারের কাছে বিজেপি অভিযোগ করার পরও কোনও সুরাহা হয়নি। এস কে কাপুরের অভিযোগ, একাধিক অভিযোগ গ্রহণই করছে না পুলিশ।
তিনি জানান, সেই কারণেই সুপ্রিম কোর্টে বিজেপি আবেদন করে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের আবেদন করে।বিজেপি প্রার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেও আবেদন করেনা সিনিয়র আইনজীবী এস কে কাপুর। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, "মাত্র ৪ জন বিজেপি প্রার্থী আবেদন করেছেন। আদালত কি এই ৪ জনের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করবে?" উত্তরে এস কে কাপুর বলেন, "বিজেপি এই মামলা করেছে, তাই বিজেপি সব প্রার্থীর নিরাপত্তা, অর্থাৎ কলকাতা পুরভোটের নিরাপত্তা সুনিশ্চিতের আবেদন জানাচ্ছি আমরা। "
অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আদালতে এই বিষয়ে মন্তব্য করেন, 'বিজেপির এমন আবেদন বিস্ময়কর'। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ত্রিপুরার পুরভোটের ক্ষেত্রে ত্রিপুরা রাজ্য নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force In WB Civic Poll) চেয়ে আবেদন করে। আমাদের রাজ্য নির্বাচন কমিশন তেমন কোনও আবেদন করেনি, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা।