সকালবেলা নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলেন। নিজেই তুলি ধরে দেওয়াল লিখলেন।ওই ওয়ার্ডের মেয়ে আবার ওই ওয়ার্ডেরই বৌমা।যার ফলে এলাকায় পরিচিতি অনেকটা। আর সেই পরিচিতিই তাঁকে ওয়ার্ডের প্রতি দায়বদ্ধ করে তুলেছে গত পাঁচ বছর ধরে। গত বারেরও কাউন্সিলর ছিলেন এই ওয়ার্ডে।
আরও পড়ুন: CPIM-র আগে তৃণমূল, ত্রিপুরা পুরভোটের প্রাথমিক ফলে জাঁকিয়ে বসছে ঘাসফুল
advertisement
সুনন্দা বলছিলেন, ''৩৯ বছর পরে এই ওয়ার্ডে অ-বাম প্রতিনিধি আমি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে এলাকাকে সুন্দর করতে শিখিয়েছেন, তার সঙ্গে নিজের ভাবনা মিশিয়ে সাজিয়ে তুলেছি ১৮ নম্বর ওয়ার্ড।'' এই ওয়ার্ডে হাঁটলে মাঝে মাঝে থমকে দাঁড়িয়ে যেতে হবে। কোথাও মা শিশুকে আদর করছে,কোথাও উপজাতি পুরুষ মহিলা দাঁড়িয়ে,কোথাও অর্জুনের সারথি কৃষ্ণ, এসব আরো অনেক মূর্তি রাস্তার ধারে বসানো আছে। এক কথায় বলতে গেলে ধর্মতলা থেকে শ্যামবাজারের দিকে যেতে গেলে যখনই বাম হাতে সুদৃশ্য মূর্তি রাস্তার ধারে চোখে পড়বে, তখনই মনে করবেন এটিই ১৮ নম্বর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডে রয়েছে পৃথিবীর বৃহত্তম পতিতাপল্লি 'সোনাগাছি'।
আরও পড়ুন: 'কলকাতার প্রতি আলাদা ভালোবাসা'! তবে কি? বাবুল সুপ্রিয়র এক মন্তব্যেই ফের তোলপাড়
আগে এখানকার বস্তি, রাস্তাঘাট, ড্রেন ,সমস্ত কিছু নোংরা হয়ে থাকত। গত পাঁচ বছরে যেমন রাস্তাঘাট,ড্রেন থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্র উন্নত হয়েছে, তেমনই প্রতিটি ঘরের হেঁশেলের মধ্যে ঢুকে পড়েছে সুনন্দা নামটা। বয়স্ক মানুষের সঙ্গে রাস্তায় দেখা হলে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন সুনন্দা। তাঁরাও দু হাত বাড়িয়ে মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করেন। সুনন্দাকে প্রশ্ন, এবার নির্বাচনে কী হবে? তৃণমূল প্রার্থীর সোজা উত্তর, ''পাঁচ বছর ধরে মন দিয়ে পড়াশোনা করেছি। পরীক্ষা দেব। যারা পরীক্ষা নেবেন, তাঁরাই জানেন কী করবেন! তবে পাশ করবই।''