জলাশয়ের জমি যাতে নির্দিষ্ট রাখা যায়, কলকাতার পরিবেশ বাঁচাতে পুরসভার নয়া উদ্যোগ। কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, এর ফলে বাড়ি, জমি ও পুকুর একসঙ্গে থাকলেও ক্রমশ জলাশয় কমছিল। পুরসভার এই উদ্যোগের পর জলাশয় কমানোর প্রবণতা বন্ধ হবে।
আরও পড়ুন- পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি শুরু! বড় সিদ্ধান্ত পঞ্চায়েত দফতরের
advertisement
আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে কলকাতা শহরে আর কোনও আন-অ্যাসেসড প্রপার্টি থাকবে না। অর্থাৎ পুরসভা কলকাতা শহরের সমস্ত সম্পত্তি কর মূল্যায়নের আওতায় আনবে।
সমস্ত বাড়ি, জমি করের আওতায় আনবে কলকাতা পুরসভা। যে জমি বা বাড়ির মালিক পাওয়া যাবে না তা কলকাতা পুরসভার অধীনে আনা হবে। ভবিষ্যতে প্রমাণ দিয়ে সেই জমি মালিককে নিতে হবে।
কেএমডিএ বা অন্য কোনও সংস্থার জমি হলেও তা পুরসভাকে জানাতে হবে। কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, বেশ কিছু সম্পত্তি রয়েছে দীর্ঘদিন যাবত্ মালিক হিসেবে কেউ যোগাযোগ করেন না, সম্পত্তি করও দেয় না।
অনেক সরকারি সংস্থার জমিও এর মধ্যে রয়েছে। এই সব জমিগুলোকে চিহ্নিত করেছে কলকাতা পুরসভা। দু থেকে তিন মাসের মধ্যে সমস্ত জমিকে সম্পত্তি কর মূল্যায়নের আওতায় আনা হবে।
একইসঙ্গে শহরের বিপজ্জনক বাড়িগুলো নিয়েও কড়া মনোভাব নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। ইতিমধ্যেই বিপজ্জনক বাড়ির অংশ ভেঙে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। তার পুনরাবৃত্তি হলেও বিপদজনক বাড়ি থেকে সরে যাননি এখনও অনেকে।
বর্ষার মরসুমে বিপজ্জনক বাড়িগুলিকে আবার নোটিশ পাঠাবে কলকাতা পুরসভা। এবার তৎপর না হলে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে অধিগ্রহণের আইন আনবে সরকার। তবে সেই সময় বাড়ির ব্যবহারকারী এবং মালিকদের পজেশন সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- অর্পিতার ফ্ল্যাটে বন্দি ৯টি কুকুর কি বাঁচবে? ইডি-কে চিঠি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার
মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, অনেকেই আশঙ্কায় থাকেন, বিপদজনক বাড়ি থেকে একবার সরে গেলে আর হয়তো দখল পাবেন না। সেই জন্যই পজেশন সার্টিফিকেট দেবে কলকাতা পুরসভা। যাতে নিশ্চিতভাবে বিপজ্জনক বাড়ি থেকে সরে যেতে পারেন বাসিন্দারা।
এদিন কলকাতা পুরসভার মেয়র এবং কে এম ডি এর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম কসবার ইচ্ছে এন্টারটেনমেন্টের অবৈধ নির্মাণকে নিয়েও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান।
তিনটে প্লটের খালি প্লটে নির্মাণ হয়ে থাকলে পুরসভার নিয়ম অনুযায়ী নোটিশ পাঠানো হবে, তারপর ভেঙে দেওয়া হবে। পুরসভার এই নিয়মকেও মনে করিয়ে দেন ফিরহাদ হাকিম।
যেহেতু কেএমডিএ র জমি তাই কে এম ডিএর তদন্ত রিপোর্ট পেলেই ব্যবস্থা নেবে পুরসভা। কে এম ডিএ তদন্ত শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর।
