প্যান্ডেলের কাজ এতটা হয়ে যাওয়ার পর জায়গা পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, বুঝতে পারছেন না কেউই। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার কথাই ভাবছেন মহম্মদ আলি পার্কের পুজো উদ্যোক্তারা।
মহম্মদ আলি পার্কের নিচে থাকা ব্রিটিশ আমলে তৈরি জলাধার আগে থেকেই কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। পুরসভার তরফে পাওয়া চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারেনি পুজো উদ্যোক্তা কমিটি।
advertisement
আরও পড়ুন- Durga Puja 2022: কীসের উপর মহম্মদ আলি পার্কের মণ্ডপ? জেনেই দুর্গাপুজোয় নিষেধাজ্ঞা পুরসভার!
আজ বিকেলে পুজো কমিটির কার্যনির্বাহী কমিটির তরফে একটি আপৎকালীন বৈঠক ডাকা হয়। সেই বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র না বেরোলেও প্রাথমিকভাবে কলকাতা পুরসভারই দ্বারস্থ হওয়ার কথাই ভাবেন উদ্যোক্তারা।
পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করলে জল সরবরাহকারী বিভাগের ডিজি আগামীকাল বৈঠকে বসতে সম্মত হন পুজো কমিটির সঙ্গে। পাশাপাশি আগামীকাল বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের পুজো কমিটিগুলিকে আগেই একটি বৈঠকের জন্য ডেকেছিলেন নেতাজি ইন্ডোরে।
যেহেতু জল সরবরাহ বিভাগের তরফেই এই নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে, তাই কাল দুপুর ১২:০০ টায় কলকাতা পুরসভার হেডকোয়ার্টারের বৈঠকটি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে।
সেখান থেকেই সরাসরি তারা নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবেন। বাংলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী পুজোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী কোনো সদর্থক ভূমিকা নেবেন, এই বিষয়ে আশাবাদী পুজো উদ্যোক্তা কমিটি।
আরও পড়ুন- বড় খবর! এবার নোটবন্দি নিয়ে তদন্তে নামছে ইডি! তালিকায় এ রাজ্যের প্রভাবশালীরাও
কমিটির তরফে প্রভাত তিওয়ারি জানান, "২০১৯ সালে প্রথম যখন এই সমস্যা হয় কিংবা ২০২০ সালের থেকে কোভিড পরিস্থিতিতে গুরুতর অবস্থাতেও আমরা এই পুজো আয়োজন করতে পেরেছি। এবারেও বৈঠক করে কোনও না কোনও সমাধান সূত্র আমরা ঠিক বের করতে পারব। সাধারণ দর্শনার্থীদের নিয়ে কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়েও এই পুজো আয়োজন করতে পারব।"
সাহ্নিক ঘোষ
