আর বাংলাতেই এক বছর ধরে পরিষেবা দিতে গিয়ে নাভিশ্বাস মেট্রো রেলের।
ঘটা করে উদ্বোধন হয়েছিল জোকা-তারাতলা মেট্রোর। যদিও এই মেট্রো রুটে পরিষেবা দিতে গিয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন মেট্রো। ১২ বছর অপেক্ষার পর গতবছর চালু হয়েছে জোকা-তারাতলা মেট্রো। দৈনিক ১২ ট্রিপের খরচ তুলতেই রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে কলকাতা মেট্রো রেল।
advertisement
সোম থেকে শুক্র, সপ্তাহে পাঁচ দিন জোকা থেকে তারাতলা রুটে মেট্রো চলানো হয়। সকাল ১০ টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত ১২টি করে মেট্রো চলে প্রতিদিন। কিন্তু, যাত্রী সংখ্যা ক্রমশই হতাশ করছে রেলকে। লাভ তো দূরের কথা। যে পরিমাণ টাকা খরচা হচ্ছে সেই খরচের টাকাও তুলতে পারছে না রেল। যদিও মাঝেরহাট পর্যন্ত মেট্রো চালু হলে এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে বলেই আশাবাদী মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
কৌশিক মিত্র, সিপিআরও মেট্রো রেল অবশ্য জানাচ্ছেন লাভ ক্ষতি দেখে পরিষেবা দেওয়া হয় না। যাত্রী চাহিদা দেখেই এই পরিষেবা দেওয়া হয়। এই প্রকল্পে মাঝেরহাট স্টেশন দ্রুত সংযুক্ত হয়ে যাবে। তখন দেখবেন যাত্রী সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। উদ্বোধনের পর একবছর পার।
কিন্তু, যাত্রী পরিষেবায় সেভাবে দাগ কাটতেই পারছে না জোকা-তারাতলা মেট্রো পরিষেবা। দৈনিক যাত্রী সংখ্যা হাজারের কম। স্বীকার করে নিচ্ছেন মেট্রো ভবনের আধিকারিকরা। এক যুগ পর অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি জোকা-তারাতলা মেট্রো রুটের উদ্বোধন করেছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এক বছরের মধ্যে এই রুটে পরিষেবা কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে।
মেট্রো সূত্রে খবর, লাভ তো দূরের কথা, ক্ষতি সামাল দিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। যা অবস্থা তাতে কতদিন এই বোঝা বয়ে বেড়ানো যাবে সেটাই প্রশ্ন।
সকাল থেকে মেট্রো পরিষেবা চালু হয় না। সন্ধে হতেই বন্ধ হয়ে যায় সেই পরিষেবা। আপ ডাউন মিলিয়ে চলে মাত্র ১২ টি মেট্রো। জোকা থেকে সকাল ১০টায় চলে প্রথম মেট্রো। সন্ধে ৬টায় জোকা মেট্রো স্টেশনে পৌঁছয় শেষ মেট্রো। আধ ঘন্টা অন্তর একমুখী মেট্রো চলে। সপ্তাহে ৫ দিন মেলে পরিষেবা।
এমনকী সরকারি ছুটির দিনেও বন্ধ থাকে পরিষেবা। বেহালার মধ্যেই সীমাবদ্ধ পরিষেবা। মাঝেরহাট পর্যন্ত রুট বৃদ্ধির কথা থাকলেও, কবে চালু হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। আর বিবাদীবাগ পর্যন্ত মেট্রো রুট কবে সম্পূর্ণ হবে তা কেউ জানেনা। যদিও মেট্রো রেল সিপিআরও কৌশিক মিত্র বলছেন, মেট্রোয় লাভ ক্ষতি দেখে চলে না। আমরা পরিষেবা দিচ্ছি।’