দৈর্ঘ্য ও ওজন: মেশিনটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৯০ মিটার এবং ওজন ৬৫০ টন। দূরত্ব: মেশিনটি তামিলনাড়ু থেকে কলকাতায় প্রায় ১৬৫৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে। সুড়ঙ্গ খনন: উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রিকাস্ট সেগমেন্ট রিং দিয়ে সুড়ঙ্গ খনন এবং নির্মাণ করা সম্ভব। প্রথম খনন: পার্পল লাইনের টিবিএম প্রথমে সেন্ট থমাস থেকে ভিক্টোরিয়া পর্যন্ত ১.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ নির্মাণ করবে। দ্বিতীয় খনন: দ্বিতীয় ড্রাইভটি ভিক্টোরিয়া থেকে পার্ক স্ট্রিট পর্যন্ত ৯৫০ মিটার বিস্তৃত হবে।
advertisement
অন্যান্য মেট্রো রুটে ব্যবহার: ভারতে, দিল্লি, কানপুর, আগ্রা, চেন্নাই, মুম্বাই, কলকাতা, আহমেদাবাদ এবং আরও অনেক জায়গায় মেট্রো নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণ বা নির্মাণ সহ জলবিদ্যুৎ, রেলপথ, রাস্তা, জল, পয়ঃনিষ্কাশন প্রকল্পের মতো নাগরিক অবকাঠামো প্রকল্পের জন্য Herrenknecht-এর মেশিন এবং সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়। খিদিরপুর থেকে এসপ্ল্যানেড: সূত্রের খবর, ২০২৫ সালের মার্চ মাসে খিদিরপুর থেকে এসপ্ল্যানেডের মধ্যে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ শুরু হবে।
জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডর: জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডরের খিদিরপুর থেকে পার্কস্ট্রিট পর্যন্ত টানেল তৈরির কাজের জন্য দুটি টানেল বোরিং মেশিন ব্যবহার করা হবে। পার্পেল লাইন মেট্রোয় ভূগর্ভস্থ অংশে পথ তৈরি করতেই এই বিশালাকায় টানেল বোরিং মেশিন আনা হয়েছে কলকাতায়। জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডরের খিদিরপুর থেকে পার্কস্ট্রিট পর্যন্ত টানেল তৈরির কাজের জন্য টানেল বোরিং মেশিনটি ব্যবহার করা হবে। যা খিদিরপুর শ্যাফট থেকে নামানো হবে। প্রথমে খিদিরপুরের সেন্ট থমাস স্কুল চত্বর থেকে ভিক্টোরিয়া পর্যন্ত ১.৭ কিমি পথ তৈরি করবে এই টানেল বোরিং মেশিন। এরপর ভিক্টোরিয়া থেকে পার্কস্ট্রিট অংশের ৯০০ মিটার তৈরি করবে এই মেশিনটি। সেখান থেকে এই লাইনটি এসপ্ল্যানেডের সঙ্গে যুক্ত হবে। সেখান থেকে ইডেন গার্ডেন্স অবধি এই টানেল বোরিং মেশিন ব্যবহার হবে কিনা তা এখনও নির্দিষ্ট করে উঠতে পারেনি RVNL।
পার্পেল লাইনে আপাতত জোকা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত বাণিজ্যিক পরিষেবা চালু আছে। জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডরে (পার্পেল লাইন) মোট চারটি স্টেশন হবে ভূগর্ভস্থ। এই লাইনের জন্যে এসপ্ল্যানেড স্টেশন তৈরির জন্য ময়দানের যেখানে বিধানচন্দ্র রায় মার্কেট সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। ইডেন গার্ডেন্স স্টেশন তৈরি হলে তা পঞ্চম ভূ-গর্ভস্থ স্টেশন হবে।