গত মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শিয়ালদহর কোলে মার্কেটে পরিদর্শন করেন টাস্ক ফোর্সের এবং কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের সদস্যেরা। সেখানে গিয়ে বাজার মূল্য বেশ চড়া বলে দাবি করেন তাঁরা। কোলে মার্কেটে গিয়ে দেখা যায় টাস্ক ফোর্স-এর সদস্যদের দেখেই দোকানদাররা পাল্লা প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা কম দাম চাইছে। আবার টাস্ক ফোর্স চলে গেলেই তাঁরা নির্ধারিত বেশি দামে পাইকারি দরে বিক্রি করছে।
advertisement
বাজারে মাল তুলতে বিভিন্ন বাজার থেকে যে সমস্ত খুচরো বিক্রেতারা এসেছিলেন, তাঁরাও অভিযোগ করছিলেন সব্জির দাম কোনও ভাবে কমছে না। প্রতিটি খুচরো বাজারে গেলে ক্রেতাদের অভিযোগ থাকছেই। এদিন সকালে, টাস্ক ফোর্সের পক্ষ থেকে রবীন্দ্রনাথ কোলে এবং কমল দে, দুজন মিলেই দাবি করেন,রবিবার এবং সোমবারের থেকে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ দাম কমেছে পাইকারি বাজারে। মঙ্গলবার সন্ধ্যাবেলা বিভিন্ন খুচরো বাজার ঘুরে দেখা গেল,আদতে দাম তেমন কিছু কম হয়নি।
খুচরো বাজারগুলোয় এখনও পর্যন্ত ১০০ গ্রাম কাঁচা লঙ্কার দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যেখানে কোলে মার্কেটে কাঁচা লঙ্কার কেজি সকাল বেলা বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। আজ উচ্ছে পাইকারি বাজারে কোথাও ৮০ – ১০০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি হয়েছে। ঢেঁড়স ৭০ থেকে ৯০ টাকা, বেগুন ১০০ থেকে ১২৫ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি হয়েছে। সেই হিসাবে খুচরো বাজারে বাজারদর এখনও পর্যন্ত নাগালের বাইরে।
ক্রেতাদের দাবি ,দাম যখন একেবারেই বেড়ে যায়, তখনই সরকারের টনক নড়ে। তার বাইরে টাস্ক ফোর্স কিংবা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট দফতরের কোনও হেলদোল থাকে না। অনেকেই দাবি করছেন, চাষি এবং ক্রেতাদের মধ্যে যে সমস্ত ফোড়েরা রয়েছে, তারাই বাজারদর অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে।