বর্তমানে দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে সেখআনেই রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ঘটনার পর পরই ফোন করে ঘটনার খবরাখবর নিয়েছেন তিনি৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশ করে মমতা লিখেছেন, ‘বড়বাজার এলাকার হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা৷ আমি সারারাত ধরে উদ্ধারকাজের খবরাখবর নিয়েছি৷ যত দ্রুত যত বেশি সংখ্যক অগ্নি নির্বাপণের ইঞ্জিন সেখানে পৌঁছয় তা নিশ্চিত করেছি৷ ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ ওই হোটেলে দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল৷ আমি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে৷ ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা৷’
advertisement
ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷
মঙ্গলবারের এই অগ্নিকাণ্ডে ঝলসে-দমবন্ধ হয়ে ২ শিশু-সহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়। প্রথমে আগুন লাগার পরই ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামতে গিয়ে এক হোটেলকর্মীর মৃত্যু হয়। এরপর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘরের ভিতরে তল্লাশিতে ঢোকেন দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা৷
তখনই বিভিন্ন ঘর থেকে আরও ১৩টি অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়৷ রাত ৩.১৫ নাগাদ নগরপাল মনোজ ভার্মা নিজেই এই খবর জানান৷ জি প্লাস ৫ বিল্ডিং। ছয় তলা বিল্ডিং-এ একদম নীচের ফ্লোরে ছিল একটি এসি বার ও রেস্টুরেন্ট। দোতালায় আগে অন্য ভাড়া ছিল এখন আংশিকভাবে বেআইনি নির্মাণ করে জানলাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেখানেই নতুন করে বার রেস্টুরেন্ট করা হচ্ছিল।
এর উপরে তিন তলা সেখানে রেস্টুরেন্ট ও আবাসিকদের রুম। মোট ৪২ টি রুমে ৮৮ জন অতিথি ছিলেন। অভিযোগ বাইরে ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম থাকলেও তার থেকে কোনও জলের প্রেশার বের হয়নি। তাই কার্যত কাজ করেনি। পুরো বিল্ডিংয়ে একটাই সিঁড়ি। হওয়াতেও হয় বিপত্তি।