সূত্রের খবর, বেলেঘাটার বি সি রায় হাসপাতালে ২৫টি পিকু রয়েছে, তার একটিও খালি নেই৷ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও ২০টি পিকু শয্যার প্রতিটি ভর্তি৷ ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ-এর ২২টি পিকু শয্যার একটিও খালি নেই৷
আরও পড়ুন: কলকাতাতেই মৃত্যু ১১ শিশুর! কীভাবে ধরা পড়ে অ্যাডিনোভাইরাস, পরীক্ষার খরচ কত
advertisement
ফর্টিস হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সুমিতা সাহা জানান, 'এই রোগ নির্ণয় করার জন্য প্রয়োজনীয় ভাইরাল প্যানেল টেস্ট অত্যন্ত ব্যয়বহুল, একই সঙ্গে এই ভাইরাসের কোনও ভ্যাকসিন বা ওষুধ নেই, শুধুমাত্র উপসর্গ ভিত্তিক চিকিৎসাই একমাত্র উপায়। ফলে বাবা-মাকে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হবে, সর্দি-কাশি- জ্বরে আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া উচিত৷'
আরও পড়ুন: তরুণদের মধ্যে বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি! কী বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, জেনে নিন বিস্তারিত!
জানা গিয়েছে অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণ নির্ণয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা ভাইরাল প্যানেল বা পিসিআর (Polymerase chain reaction) টেস্ট করাতে বেসরকারি ক্ষেত্রে খরচ ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজারের মধ্যে৷ ফলে চিকিৎসক এই টেস্ট করাতে বললেও বিপুল খরচের জন্যই অনেকের পক্ষে তা সঙ্গে সঙ্গে করানো সম্ভব হচ্ছে না৷ আর্থিক খরচের জন্যই অনেক বাবা-মায়েদের পক্ষে এই টেস্ট করানোও সম্ভব হচ্ছে না৷
ইতিমধ্যেই অ্যাডিনোভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর৷ সেখানে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, 'রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতির উপরে নজর রাখতে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ, জেলাস্তরের হাসপাতালকে প্রতিদিনের রিপোর্ট (রাত ১২টা থেকে পরের দিন রাত ১২টার হিসাবে) সরাসরি নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যকর্তার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে এবং ইমেলে পাঠাতে বলা হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে ‘অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন’-এ আক্রান্ত কত জন নতুন শিশু ভর্তি হয়েছে, ওই সংক্রমণে কত জনের মৃত্যু হয়েছে, মোট কত জন রোগী ভর্তি, তাদের মধ্যে কত জন পিকু, নিকু (নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট), এসএনসিইউ (সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট) কিংবা সিসিইউ-তে ভর্তি রয়েছে, সেই সব তথ্য জানাতে হবে ওই রিপোর্টে। পাশাপাশি জানাতে হবে, কত জনের অক্সিজেন চলছে এবং কত জনকে ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়েছে।'