ফৌজদারি অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে পাড়া-পড়শিরা। সমস্যা কাটাতে পদক্ষেপ করুক রাজ্য।
সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসুক রাজ্যের পুরসভাগুলি।’ এমনটাই পর্যবেক্ষণ বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের।
প্রতিটি পুরসভায় পথ-কুকুরদের খাবার দেওয়ার বিষয়ে নির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনা চায় হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ, যেখানে-সেখানে নয়, পুরসভা চিহ্নিত জায়গায় খেতে দেওয়া হোক পথ-কুকুরদের। পুরসভা চিহ্নিত নির্দিষ্ট জায়গায় কুকুরের খাবার দিয়ে আসতে পারবেন সাধারণ মানুষ। কলকাতা পুরসভা ও রাজ্যের সব পুরসভায় পথ-কুকুরদের আহারের জায়গা নির্দিষ্ট করতে চায় হাইকোর্ট। কলকাতা পুরসভা ও পুর দফতরকে অবস্থান জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। ২৭ নভেম্বরের মধ্যে কলকাতা পুরসভা ও রাজ্যের পুর দফতরকে নির্দিষ্ট অফিসারের মাধ্যমে অবস্থান জানাতে হবে।
advertisement
নানা সময়ে পথ-কুকুরদের খাওয়ানো নিয়ে নানা অশান্তির খবর সামনে আসে। গতবছর পথ কুকুরকে খাওয়ানো নিয়ে বেহালা থানার ভাষাপাড়া এলাকায় এক মহিলা ও তাঁর নাবালিকা মেয়েকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। জোকা মেট্রো সংলগ্ন একটি আবাসন চত্ত্বরে দফায় দফায় মেরে ফেলা হয় চারটি কুকুরছানা। কারণ সেই এক! ওই আবাসনের ভিতরে থাকা পথকুকুরদের খাওয়ানো নিয়ে বিবাদ ছিল আগে থেকেই। তাদের দেখাশোনা করায় আবাসিকদের একাংশের রোষানলে পড়তে হয়েছিল কয়েক জনকে। কুকুরদের খাওয়ানো বন্ধ না করলে ‘ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। তার কয়েক দিনের মধ্যেই উদ্ধার হয় মাস তিনেকের একাধিক কুকুরছানার দেহ।
চলতি বছর জয়নগরে পথ কুকুরদের খাওয়ানো ঘিরে বিবাদে জড়ান দুই পড়শি। ক্রিমিনাল মামলা দায়ের হয়। জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। সেই মামলার সূত্রেই সামাজিক সমস্যার বিষয়টি নজরে আসে হাইকোর্টের। তারপরেই হাইকোর্টের এই অভিনব ভাবনা এবং রাজ্যকে নির্দেশ। রাজ্যের আইনজীবী সুমন সেনগুপ্ত জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ সংশ্লিষ্ট দফতরে জানানো হয়েছে। বিষয়টি আলোচনার স্তরে রয়েছে।