চলতি বছরের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন অজয় ( নাম পরিবর্তিত)৷ তাঁর দাবি, তিনি যখন প্রথম ওয়েবসাইটে নিজের Rank দেখেন তখন তাঁর GMR বা General Merit Rank ছিল ১৬ এবং PMR বা Pharmacy Merit Rank ছিল ২৪৷
advertisement
কিন্তু পরে তিনি আবার যখন নিজের Rank পরীক্ষা করেন তখন দেখা যায় তার GMR বা General Merit Rank হয়েছে ১৪৩৯ এবং PMR বা Pharmacy Merit Rank হয়েছে ৩২৮৫৷ এরপরেই আদালতের দ্বারস্থ হন ওই ছাত্র৷
ছাত্রের তরফে সম্পূর্ণ অভিযোগ শুনে বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, এই বিষয়ের তদন্তভার কেন সিবিআইকে দেওয়া হবে না। আর ঠিক তখনই উত্তরপত্রে থাকা QR Code এর প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের আইনজীবী৷
আরও পড়ুন: বর্ষাকালে কত ডিগ্রিতে রাখা উচিত AC? যাতে পকেটেও টান পড়বে কম, ভাল থাকবে মেশিনও
দেখা যায়, দ্বিতীয়বার যে Rank পরীক্ষার্থী দেখেছেন সেটাই ঠিক৷ এরপর পরীক্ষার্থীকেই পাল্টা প্রশ্নোত্তর শুরু করেন বিচারপতি। বিচারপতি চন্দের প্রশ্নের মুখে ভেঙে পড়েন ওই পরীক্ষার্থী৷ অজয় স্বীকার করে নেন যে, তিনি Rank সংক্রান্ত ডাউনলোডেড নথি জালিয়াতি করেছেন৷ এরপরই মামলা খারিজ করে দেন বিচারপতি চন্দ।
জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ডের আইনজীবী অমিতাভ চৌধুরী জানান, QR code জালিয়াতি করার পর সেটাকে প্রতিষ্ঠা দেওয়ার জন্য মামলা করা। অবাক করার মতো ঘটনা। আমরা উপযুক্ত পদক্ষেপ নেব। যদিও অজয় যেহেতু এখনও ছাত্র, তাই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ বা বিরূপ প্রতিক্রিয়া গ্রহণ না করতে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডকে অনুরোধ করেছেন বিচারপতি৷