এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমিও আইনজীবী ছিলাম। ভুল বোঝাবুঝি হয়। তা কেউ মনে রাখবেন না। নতুন বছর আসছে, আসুন আমরা নতুন করে সবাই শুরু করি।’’ বিচারপতির এহেন বার্তাকে মান্যতা দিয়েই ‘কর্মবিরতি’ সহ যাবতীয় সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিল বার অ্যাসোসিয়েশন। তেমনটাই খবর সূত্রের৷
আরও পড়ুন: শুভেন্দু কাণ্ডে হূলস্থূল, রিপোর্ট জমা পড়ল নবান্নে! নিরাপত্তার প্রশ্নে আরও কড়া নজরদারি
advertisement
ঘটনার সূত্রপাত গত সোমবার দুপুর ৩টে নাগাদ। তখন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশনের একটি মামলার শুনানি চলছিল। সূত্রের খবর, সেখানে কমিশনের আইনজীবী প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায়ের সওয়ালের ধরন এবং তাঁর আচরণে ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের শেরিফকে ডেকে ওই আইনজীবীকে তাঁর হাতে তুলে দেন বিচারপতি। নির্দেশ দেন ‘সিভিল প্রিজনে’ রাখার। তার কিছু ক্ষণ পরেই আইনজীবীদের একাংশ বিচারপতি কাছে নির্দেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। তাঁরা চান, বিচারপতি ওই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিন। এর পরে নিজের নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: সাগরে ফুঁসছে ঘূর্ণাবর্ত! হঠাৎই বদলে গেল গতিপথ…বড়দিনে বড়সড় ভোলবদলের আশঙ্কা আবহাওয়ার
অন্য দিকে, এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে এমন নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি, এই কথা ছড়িয়ে পড়ে হাই কোর্ট চত্বরে। বিকেলেই বার অ্যাসোসিয়েশনে আইনজীবীদের একাংশ তড়িঘড়ি সাধারণ সভা ডেকে আলোচনা বসেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। বারের সম্পাদক বিশ্বব্রত বসু মল্লিক জানান, যত দিন না বিচারপতি এই ঘটনার জন্য ওই আইনজীবী এবং বারের কাছে দুঃখপ্রকাশ করছেন, তত দিন এই প্রতিবাদ চলবে। এর পরে আজ কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানালেন বিশ্বব্রত বসু মল্লিক৷