প্রসঙ্গত, গত ১৪ সেপ্টেম্বর নিয়োগ মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিয়েছিলেন, ডিরেক্টর সহ লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার সমস্ত কর্তাব্যক্তিদের সম্পত্তির পরিমাণ জানাতে হবে আদালতকে৷ ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে৷ অর্থাৎ যদি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর সিইও হন, তাঁর সমস্ত সম্পত্তির খতিয়ান পেশ করতে হবে ইডিকে। সেই নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার আদালতে হলফনামা জমা দিল ইডি৷
advertisement
এদিকে, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কম্পিউটারে ED আধিকারিকের ১৬টি ফাইল ডাউনলোড সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। তাদের অভিযোগ ছিল, ইডি আধিকারিকদের রীতিমতো হয়রান করছে কলকাতা পুলিশ। জেনারেল ডাইরির ভিত্তিতে ED আধিকারিকদের বারবার ডেকে পাঠানো হচ্ছে, বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও চাওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: লোকসভায় পাস হয়ে গেল মহিলা সংরক্ষণ বিল! তবে ২০২৪ নয়, কার্যকর হতে হতে সেই ২০২৯
এদিন অবশ্য কলকাতা পুলিশ আদালতে জানায়, এখনই এ নিয়ে ইডির বিরুদ্ধে নতুন করে কোনও পদক্ষেপ করা হবে না৷ সবশুনে বিচারপতি অমৃতা সিনহার মন্তব্য, ‘‘কলকাতা পুলিশ স্থিতাবস্থা বজায় রাখলে, নতুন করে কোনও শুনানির প্রয়োজন নেই ইডি আবেদনের।’’
তবে পাশাপাশি, ইডি অফিসারদের কোনও রক্ষাকবচও দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। জানানো হয়েছে, ইডি অফিসারদের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশ কড়া পদক্ষেপ করতে গেলে, সেক্ষেত্রে হাইকোর্টে আবেদন করতে পারবে ইডি। পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর সিইও, সমস্ত ডিরেক্টরদের সম্পত্তির খতিয়ান (লিস্ট অফ অ্যাসেটস) পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
প্রসঙ্গত, ইডি-র তরফ থেকে আদালতে লিখিত ভাবে জানাতে হয়েছে, ডাউনলোড করা ওই ১৬ টি ফাইল তারা তদন্তের মধ্যে আনবে না। গত ২১ অগস্ট লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কোম্পানিতে রাতভর তল্লাশি চালায় ইডি। এরপরই কোম্পানির এক কর্তা অভিযোগ করেন, কম্পিউটারে ১৬টি ফাইল ডাউনলোড করা হয়েছে, যেগুলি অচেনা। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক।
এই নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। ইডি-র তরফ থেকে দাবি করা হয়, এক তদন্তকারী অফিসার ওই কম্পিউটারে মেয়ের কলেজের ফর্ম ডাউনলোড করেছিলেন। তা নিয়ে অবশ্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার তিরস্কারের মুখে পড়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা।