NewYork Post-র খবর অনুযায়ী নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি কপিরাইটার এবং ঘোস্ট রাইটার হিসেবে কাজ করতেন শরণ্যা। আর সেই কাজ করে আগে তিনি প্রায় ২৪০ ডলারের কাছাকাছি উপার্জন করতেন। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২২ হাজার টাকা। ওই তরুণী জানান যে, একটি ক্রিয়েটিভ সলিউশনস এজেন্সিতে এসইও-অপ্টিমাইজড আর্টিকেলের উপর কাজ করতেন তিনি। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে যে কমিশন পেতেন, সেটা অনেকটাই কমে গিয়েছে। আর এর পিছনে তিনি দায়ী করেছেন চ্যাটজিপিটি-কে।
advertisement
শুধু তা-ই নয়, শরণ্যার দাবি, যত সংখ্যক প্রতিবেদন তিনি লিখতেন, তার পরিমাণও ১-২ মাসে অনেকটাই কমে গিয়েছিল। এর মূল কারণ হল, সংস্থাও খরচের বোঝা কমাতে চাইছিল। এমনকী, কাজের ভার কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে সংস্থার তরফে স্পষ্ট ভাবে কিছু জানানোও হয়নি।
আগের রোজগারের তুলনায় বর্তমানে শরণ্যার আয় কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ। ওই তরুণী বলেন যে, এআই বিপ্লবের মূল্য চোকাতে হচ্ছে তাঁর পরিবারকেও। আসলে শরণ্যার মা এক জন শাড়ি বিক্রেতা। তিনিও মেয়ের উপার্জনের উপরেই মূলত নির্ভরশীল। তিনি জানালেন যে, শুধুমাত্র প্রয়োজন অনুযায়ীই ব্যয় করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।
এমনকী শরণ্যা এ-ও জানালেন যে, “কতটা খাবার লাগছে, সেই বিষয়টাও সব সময় মাথায় রেখে চলতে হচ্ছে। আগে আমরা যেমন ঘুরতে যেতাম কিংবা বাইরে খেতে যেতাম, সেগুলিও আর করতে পারছি না। আর সেটা করলেও হয়তো দু’মাসে একবার। তাই বেঁচে থাকার জন্য যেটুকু দরকার শুধুমাত্র সেটুকুই অর্থাৎ খাবার ও বিল মেটানোর খরচটুকুই করতে পারছি আমরা।
এর মধ্যেও অবশ্য একটা আশার আলো জিইয়ে রেখেছেন শরণ্যা। তিনি এই পরিস্থিতিতেও এমন একটা বিশ্বের স্বপ্ন দেখেন, যেখানে সেরা ফলাফল পাওয়ার জন্য এআই-কে মানুষের দক্ষতার সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হবে। তাঁর বক্তব্য, নাহলে খুব ভাল এবং দক্ষ কপিরাইটাররা নিজেদের কাজ হারাবেন। এই বেকারত্ব এবং অনিশ্চিত ভবিষ্যতের জেরে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক-আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ছে। উত্তেজনার শিকার হচ্ছেন সকলেই। তাই এই সংস্থাগুলির প্রতি শরণ্যার আর্জি, ম্যানুয়াল এবং এআই জেনারেটেড লেবারের বিশাল পার্থক্যটা বুঝে তবেই পদক্ষেপ করা উচিত।