এখন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় প্রতিদিন মেট্রো চলে ১০০টি করে ৷ আগামী পয়লা ডিসেম্বর থেকে মেট্রো চলবে ১০৬ টি করে ৷ অর্থাৎ দুই প্রান্ত থেকে ৫৩ টি করে মেট্রো চলাচল করবে। এখন শিয়ালদহ থেকে মেট্রো ছাড়ে সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে। সেক্টর ফাইভ থেকে মেট্রো ছাড়ে সকাল ৭ টায়। আবার শিয়ালদহ থেকে শেষ মেট্রো রাত ৯ঃ৩৫ মিনিটে। সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শেষ মেট্রো রাত ৯টা ৪০ মিনিটে। অফিস টাইম বা পিক আওয়ারে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো চলাচল করে ১৫ মিনিট অন্তর। সেটা এবার থেকে করবে ১২ মিনিট অন্তর চলাচল। যদিও অন্য সময় সেই ২০ মিনিট অন্তর করেই মেট্রো চলাচল করবে।
advertisement
আরও পড়ুন- নজরে দু’দিনের সুন্দরবন সফর, জেলা নিয়ে বিশেষ ঘোষণা আজ? জল্পনা প্রশাসনিক মহলে
শিয়ালদহ স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোর চাকা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী লাভ। আর তাকে কেন্দ্র করেই মেট্রোর গ্রিন লাইনে বাড়ছে আশা। ২০২০ সালের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে চালু হওয়া সেক্টর ফাইভ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম। ওই একই বছরে ফুলবাগান পর্যন্ত চালু হওয়া মেট্রো যা করে দেখাতে পারেনি, তাই গত কয়েক মাসে করে দেখাল শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন। আগে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পে যাত্রী হত গড়ে তিন হাজার করে। যা কোনও ভাবেই এই আধুনিক মানের বা পরিকাঠামোর সঙ্গে যুতসই ছিল না। বরং সপ্তাহে সোম থেকে শনি এই মেট্রো পথে ট্রেন চালিয়ে আর্থিক ক্ষতির বহর ক্রমশ বাড়ছিল। অবশেষে শিয়ালদহ সেই খরা কাটাল।
আরও পড়ুন- বুধ, সূর্য ও শুক্রের গমন হতে চলেছে একই মাসে! আপনার ভাগ্যে এর কী প্রভাব পড়তে পারে?
এই মুহূর্তে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের যা অবস্থা তাতে ১ টাকা আয় করতে গিয়ে খরচ হয়ে যাচ্ছে ৬ টাকা। অপারেটিং রেশিও-র এই বিস্তর ফারাক বেশ চিন্তায় রেখেছে মেট্রো রেলের আধিকারিকদের ৷ যাত্রী না হলে যে সমস্যা মিটবে না তা ভালই বুঝেছেন আধিকারিকরা ৷ তাই যাত্রা শুরুর প্রথম দু'দিনেই হাসি ফুটেছে তাদের। এক আধিকারিকের কথায়, রোগীকে আইসিসিইউ থেকে বার করে জেনারেল বেডে দেওয়া হয়েছে। যে পরিমাণ যাত্রী হচ্ছে তাতে এক ধাক্কায় অপারেটিং রেশিও ৬ থেকে কমে যাবে না। তবে ৩ বা ৪-এ নেমে আসতে পারে। পুরো পথে মেট্রো চালু হলে নিয়ন্ত্রণ হবে অর্থনৈতিক গতিবিধি।