সূত্রের খবর, প্রথম দিনের উড়ানে কলকাতা থেকে কোচবিহার যাওয়ার কথা ছিল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, এনবিএসটিসির চেয়ারম্যান পার্থ প্রতিম রায়ের। প্রসঙ্গত এই উড়ানের শুভারম্ভে যোগ দেওয়ার জন্য তারা কলকাতা চলেও এসেছিলেন। যদিও তারা সেই উড়ানের প্রথম দিনের যাত্রায় সঙ্গী হচ্ছেন না। সূত্রের খবর, প্রশাসনের শীর্ষ স্তর থেকেই তাদের না থাকতে বলা হয়েছে। আজ দুপুর আড়াইটের সময় এই উড়ান পরিষেবার উদ্বোধন হবে। কলকাতা থেকে কোচবিহার উড়ে যাবে ৯ আসনের বিমান।
advertisement
রিজিওনাল কানেক্টিভিটি স্কিম বা উড়ান স্কিমে কলকাতা-কোচবিহার উড়ান চালানোয় অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক।গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিমান চলাচল শুরু হয়ে যাওয়ার কথা ছিল কোচবিহার জেলায়।মোট ৯ আসনের বিমান পরিষেবা শুরুর বিষয়টি জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতি-মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। বিমানের ভাড়াও ধার্য করা হয়েছিল জনপ্রতি মাত্র ৯৯৯ টাকা। তবে এই বিশেষ ভাড়া রাখার কথা ছিল মাত্র শুরুর তিন মাস। যা মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে থাকবে বলে আশা করছেন উত্তরবঙ্গের বহু মানুষ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক জানিয়েছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের উড়ান স্কিমের আওতায় মিলবে এই বিমান পরিষেবা। বহু পূর্বে কলকাতা থেকে কোচবিহার উড়ান চলাচল করত। মানুষের চাহিদা মেনে সেই পরিষেবা ফের চালু করা হচ্ছে।’’ বিমান সংস্থা সূত্রের খবর, কলকাতা থেকে ১০:৩০ টায় ছাড়বে এই বিমান। বিমানটি রোজ দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে কোচবিহার বিমানবন্দরে পৌঁছবে। ফের যাত্রী নিয়ে ১২টা ৪৫ মিনিটে বিমানটি কোচবিহার থেকে কলকাতার উদ্দেশ্য রওনা দেবে। বিমানের যাত্রাপথে বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহার করে কলকাতায় পৌঁছবে। প্রায় ২ ঘণ্টার মধ্যেই এক বিমানবন্দর থেকে অন্য বিমানবন্দরে পৌঁছবে বিমানটি। ‘ইন্ডিয়াওয়ান এয়ার’ বলে একটি সংস্থা এই বিমান চালাবে। তবে বিমান চলাচলের জন্য রাজ্যের পক্ষ থেকে যাবতীয় সাহায্য করা হচ্ছে। তবে উদ্বোধনের দিনেই রাজ্য সরকারের কোনও প্রতিনিধি না থাকা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। আজকের যাত্রায় বিজেপির বেশ কয়েকজন বিধায়ক থাকবেন বলেই জানা যাচ্ছে।
আবীর ঘোষাল
