ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটি দেখা যাচ্ছে, পথের ধারে পড়ে থাকা এক যুবকের বুকের উপরে বুট (Boot) দিয়ে ঠেসে ধরেছেন আরও এক যুবক। তাঁর পরনে রয়েছে সিভিক পুলিশের সবুজ-রঙা পোশাক। তিনি বাস্তবেই সিভিক ভলান্টিয়ার। আর মাটিতে পড়ে থাকা যুবককে ধরা হয়েছিল চোর সন্দেহে। আশেপাশে উপস্থিত সকলেই অবশ্য ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। কিন্তু, কিছুতেই আক্রান্ত যুবক নিজেকে ছাড়াতে পারছিলেন না, বরং গায়ের জোরে যুবককে মাটিতে শুইয়ে রেখে বুকে ও পিঠে বুট দিয়ে লাথি মারছেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার।
advertisement
যখন এই ঘটনাটি ঘটছে, তখন তা ক্যামেরাবন্দী করেন উপস্থিত অনেকেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে ভিডিওটি। সমালোচনার ঝড় ওঠে নেট দুনিয়ায়। বিষয়টি চোখে পড়তেই অবশ্য আসরে নামেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার (Police Commissioner of Kolkata) সৌমেন মিত্র। তিনি বলেন, "ঘটনাটি দেখে আমি অত্যন্ত বিব্রত। দুঃখপ্রকাশ করছি। রাতেই ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই সময়ে ওখানে ডিউটিতে থাকা ট্রাফিকের সব অফিসারকে সোমবার ডেকে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে এতজন অফিসার উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কী করে এই ধরনের অমানবিক ঘটনা ঘটল, তা জানতে চাওয়া হবে। শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য তদন্তও হবে অফিসারদের বিরুদ্ধে।''
আরও পড়ুন: অনুব্রত মণ্ডলের নিশানায় এবার রূপা গঙ্গোপাধ্যায়! BJP নেত্রীর উপর বেজায় ক্ষুব্ধ 'কেষ্ট দা'
আরও পড়ুন: 'বিরোধী দলনেতার পদ চলে যাচ্ছে', শুভেন্দুর 'দলবদল' সম্ভাবনা? বিস্ফোরক দাবি সৌমেনের!
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম তন্ময় বিশ্বাস। তাঁর অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যেয় এক্সাইড মোড় থেকে হাওড়াগামী (Howrah) একটি চলন্ত বাসে এক মহিলার ব্যাগ ছিনতাই করেছিলেন ওই যুবক। তারপর সে পালাতে গেলেই সাধারণ মানুষই তাঁকে ধরে মারধর করছিল। তখন তাঁকে পুলিশ উদ্ধার করলেও ছেলেটি পুলিশের হাত থেকেও পালানোর চেষ্টা করেন। তখনই তাঁকে আটকাতে পা দিয়ে ঠেসে ধরেছিলেন তিনি। যদিও তাতেও লাভ হয়নি। বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁকে। এই ধরনের ঘটনা দেখে রীতিমতো শিউরে উঠেছেন কলকাতাবাসী।