এবারের থিম জার্মানি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন জার্মান রাষ্ট্রদূত ডক্টর ফিলিপ আকারমান-সহ বিশিষ্ট সাহিত্যিকরা।এবারের বইমেলায় সর্বাধিক প্রকাশক এবং লিটল ম্যাগাজিনের সংখ্যা। প্রায় ১০০০ টি স্টল থাকবে। সলিল চৌধুরী এবং ঋত্বিক ঘটকের নামে প্রধান গেট। পাবলিশার্স এবং বুক সেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় জানান, ” আমরা বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে স্টল দিয়েছি। ওঁরা নাম পরিবর্তন করে রেখেছে বিশ্ব হিন্দু বার্তা। সেই ১৯৯৬ সাল থেকে কলকাতা বইমেলায় অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ। এবছর তারা নেই। আমরা দুঃখিত। এই পরিস্থিতিতে আমাদের কিছু বলার নেই। বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও আবেদন করা হয়নি। আসা করব দ্রুত এই পরিস্থিতি ঠিক হবে।”
advertisement
৪৮ বছরে এই প্রথম জার্মানিকে থিম দেশ হিসেবে পাচ্ছে কলকাতা। কলকাতা বইমেলার সঙ্গে কিন্তু জার্মানির এক বিশেষ যোগ রয়েছে! এই জার্মানি থেকেই তো ভাবনা এসেছিল কলকাতায় বইমেলা করার। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা নিয়মিত যেতেন ফ্র্যাঙ্কফুর্ট বইমেলায়।১৯৭৬ সালে কলকাতা বইমেলা আয়োজনের প্রথম চিন্তাভাবনা এসেছিল জার্মানির ফ্র্যাঙ্কফুট বইমেলা থেকেই। তারপর থেকে কলকাতা বইমেলার ৪৮ বছর কেটে গেলেও থিম কান্ট্রি হিসেবে জার্মানি কখনও অংশগ্রহণ করেনি। এবার সেই আশ মিটল! তবে, এ বছর বইমেলায় থাকছে না বাংলাদেশ। প্রায় ৩০ বছর পর এমনটা ঘটছে! ১৯৯৬ সাল থেকেই কলকাতা বইমেলার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ।