কলকাতার বাতাসের মানে ব্যাপক অবনতি ঘটেছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় Air Quality Index (AQI) ২৫০-এর কাছাকাছি পৌঁছেছে। ফলে চিন্তার ভাঁজ বিশেষজ্ঞদের মাথায়।
পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (WBPCB)-এর তথ্য অনুযায়ী, কলকাতার দক্ষিণে যাদবপুর এবং উত্তরে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (সিঁথি)-তে স্বয়ংক্রিয় মনিটরিং স্টেশনগুলিতে AQI যথাক্রমে ২৪২ ও ২৫২ রেকর্ড করা হয়েছে। দুটিই ‘poor (খারাপ)’ বিভাগের মধ্যে পড়ে।
advertisement
শুক্রবার এই এলাকাগুলিতে AQI ছিল ১৭৯ থেকে ১৮৫ (PM 2.5), যা তুলনামূলকভাবে ভাল অবস্থানে ছিল। WBPCB-এর এক কর্তা বাতাসের এই হঠাৎ অবনতির কারণ হিসেবে আবহাওয়ার পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, এটা আতশবাজির ব্যবহারের ফল নয়।
AQI স্কেল অনুযায়ী:
0–50: ভাল
51–100: সন্তোষজনক
101–200: মাঝারি
201–300: খারাপ
301–400: খুব খারাপ
401–500: বিপজ্জনক
এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভোগা রোগীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। পর্ষদ ব্যাখ্যা দিয়েছে, বর্ষা বিদায় নেওয়ার পর বায়ুমণ্ডলের আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় এবং বাতাস স্থির থাকার ফলে হাওয়ায় মিশে থাকা particulate matter (PM) বা ধুলো-মাটির কণা ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি থেকে সরে যেতে পারছে না। ফলে AQI খারাপ হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন- বিতর্কিত প্রশ্ন হলে দায়িত্ব নিতে হবে স্কুলকেই!মাধ্যমিক নিয়ে পর্ষদের নির্দেশ পৌঁছল স্কুলে
এছাড়াও ঘন বসতিপূর্ণ এলাকাগুলিতে নির্মাণকাজ বেড়ে যাওয়াও বায়ুদূষণের আরেকটি প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। কালীপুজোর দিন (সোমবার) WBPCB-এর টিম ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাবে, যাতে বায়ুদূষণ ও বিধিভঙ্গের ঘটনা পর্যবেক্ষণ ও মোকাবিলা করা যায়। শহরের অন্যান্য অংশে শনিবার বায়ুর গুণমান তুলনামূলকভাবে মধ্যম (Moderate) পর্যায়ে ছিল। WBPCB-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী:
বালিগঞ্জে AQI ছিল 143
ফোর্ট উইলিয়ামে 115
রবীন্দ্র সরোবর এলাকায় 116
সল্ট লেকে 108
পরিবেশবিদ সোমেন্দ্র মোহন ঘোষ এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, “WBPCB এবং পুলিশের নজরদারি ঢিলে পড়ায় কালীপূজোর আগে কলকাতার বাজারে অবৈধ আতশবাজি ঢুকে পড়েছে। শুক্রবার রাত থেকেই বাজির শব্দ শোনা গেছে। আশঙ্কা করছি, কালীপুজোর আগের দিন AQI ‘very poor’ এমনকী ‘severe’ (চরম) পর্যায়েও পৌঁছে যেতে পারে।”