TRENDING:

কলকাতায় ভয়ঙ্কর দূষণ! আমেরিকার সংস্থার তথ্য ভুল, দাবি মন্ত্রী মানস ভূঁইয়ার 

Last Updated:

Kolkata Pollution: দূষণের নিরিখে বিশ্বের শহরগুলির মধ্যে দিল্লির পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা!

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: সম্প্রতি আমেরিকার এক গবেষণাকারী সংস্থা শহর কলকাতার বায়ুদূষণ নিয়ে ভয়ঙ্কর রিপোর্ট তুলে ধরেছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, বাতাসে ভাসমান অতিসূক্ষ্ম ধূলিকণার (পিএম২.৫) উপস্থিতির নিরিখে বিশ্বের শহরগুলির মধ্যে দিল্লির পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা।
advertisement

এবার সেই রিপোর্টকেই ত্রুটিযুক্ত বলে দাবি করলেন রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া। একই সুর রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্রর গলাতেও।

আরও পড়ুন- প্রয়াত স্বামীর চাকরি পেয়ে সটান বাপের বাড়ি, অসহায় শাশুড়িকে দেখেন না বৌমা, ডাকল আদালত

তাঁদের একযোগে বক্তব্য, রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৯ সালে কলকাতায় প্রতি ঘন মিটারে পি এম ২.৫-এর উপস্থিতি ছিল ৮৪ মাইক্রোগ্রাম। শীর্ষে ছিল রাজধানী দিল্লি। সেখানে পি এম ২.৫- এর উপস্থিতি প্রতি ঘনমিটারে ১১০ মাইক্রোগ্রাম।

advertisement

যেখানে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, বাতাসে পি এম ২.৫- এর বার্ষিক উপস্থিতির নির্ধারিত মাত্রা প্রতি ঘনমিটারে ৪০ মাইক্রোগ্রাম। এদিন বাইপাসের ধারে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দফতরে প্রায় দু ঘন্টা বৈঠকের পর দ্রুত এ সংক্রান্ত নথি পেশ করা হবে বলে জানানো হয়।

রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া শহরের দূষণের জন্যে উত্তর ভারত এবং ঝাড়খণ্ড থেকে ভাসমান ধূলিকণাকে দায়ী করে বলেন, অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে মার্চের শেষ সময় পর্যন্ত দূষণ বাড়ে।

advertisement

শুধু পরিবহন দফতরকে দায়ী করতে নারাজ মানস ভূঁইয়া। তিনি আরও বলেন, পার্শ্ববর্তী রাজ্য গুলোর দূষণ আমাদের রাজ্যে আসছে। পাশাপাশি রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে ধান কাটার পর যে অংশটি থাকে সেটা পুড়িয়ে দেন চাষীরা। ফলে দূষণ সেখান থেকেও বাড়ে বহু অংশে।

আর এই দূষণ রোধ করার জন্যে স্কুলের দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী এবং কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে বিশেষ ভার্চুয়াল সেমিনার করতে চায় রাজ্য দূষণ পর্ষদ। এর মাধ্যমে পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত সচেতনতা পৌঁছে দিতে আগামী দিনে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও এদিন বৈঠকে আলোচনা হয়।

advertisement

পাশাপাশি দুর্গা পূজার সময় যাতে থার্মকলের ব্যাবহার আটকানো যায়, সেদিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হবে বলে জানান দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র।

আরও পড়ুন- বারবার কনভয়ে ট্রাকের ধাক্কা! শুভেন্দুকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে আদালতে বিজেপি

সারা বছর ধরে শব্দ দূষণ এবং বায়ু দূষণের উপর নজর রাখার জন্য এদিন একটি কন্ট্রোল রুমও চালু করা হয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দফতরে। আপাতত রাজ্যের ১৩১ টি পয়েন্ট থেকে নজরদারি চালাবে পর্ষদ।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

আগামী দিনে এই পয়েন্ট বাড়িয়ে ১৫০ টি করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এই কন্ট্রোল রুম শুধু নজরদারি চালাবে না, প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেবে বলে জানা গেছে।

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
কলকাতায় ভয়ঙ্কর দূষণ! আমেরিকার সংস্থার তথ্য ভুল, দাবি মন্ত্রী মানস ভূঁইয়ার 
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল