বরাহনগর থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম মেট্রো চলছে। দক্ষিণেশ্বর স্টেশনে সিগন্যাল পয়েন্টে বিভ্রাটের কারণে বন্ধ রয়েছে একটি স্টেশন। তার জেরেই এই ঘটনা বলে জানা যাচ্ছে।
বরাহনগর থেকে লাইন বদলে যথেষ্ট সময় লাগছে মেট্রোর। ফলে সকাল থেকে ব্লু লাইনে ভোগান্তি বাড়ছে যাত্রীদের।
advertisement
অন্যদিকে, রবিবার থেকে পিক আওয়ারে সেন্ট্রাল পার্ক, সিটি সেন্টার, মহাকরণ এবং গ্রিন লাইনের এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনগুলিতে একটি মাত্র বুকিং কাউন্টার পরিচালনা করতে চলেছে মেট্রো রেল। ১৬.১১.২০২৫ তারিখে পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে। রবিবার এই স্টেশনগুলিতে ভিড় কম থাকাকালীন “কোনও বুকিং কাউন্টার” চালু থাকবে না। রবিবার ভিড় কম থাকাকালীন টোকেন ইস্যু, নতুন স্মার্ট কার্ড বা স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করার জন্য এই স্টেশনগুলিতে কোনও বুকিং কাউন্টার খোলা থাকবে না। পরিবর্তে, যাত্রীরা তাদের স্মার্ট ফোনের সাহায্যে “AAMAR KOLKATA METRO” অ্যাপ ব্যবহার করে তাদের টোকেন, স্বয়ংক্রিয় স্মার্ট কার্ড রিচার্জ মেশিন (ASCRM) থেকে স্মার্ট কার্ড এবং মোবাইল QR টিকিট কিনতে পারবেন।
যাত্রীরা স্বয়ংক্রিয় স্মার্ট কার্ড রিচার্জ মেশিন (ASCRM) থেকে তাদের স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করতে পারবেন। এই কারণে, এই স্টেশনগুলিতে ইতিমধ্যেই ASCRM মেশিন ইনস্টল করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, এই ব্যবহারকারী-বান্ধব ASCRMগুলি মেট্রো রেলওয়েতে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে চলেছে। যাত্রীরা এই ASCRMগুলিতে UPI পেমেন্ট-ভিত্তিক টিকিটিং সিস্টেমও বেছে নিতে পারেন।
নো বুকিং কাউন্টারের কথা আগেই জানিয়েছিল মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। সেই মতো আগেই কয়েকটি স্টেশনে টিকিট কাউন্টার তুলে নেওয়া হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যোগ হল গ্রিন লাইনের বেঙ্গল কেমিক্যাল স্টেশন। এবার সেখানেও আর টিকিট বুকিং কাউন্টার থাকবে না। অন্যান্য স্টেশনের তুলনায় এই স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় কম। সেই মতোই এই স্টেশনকে নো বুকিং কাউন্টার স্টেশন করা হল। এর কলকাতা মেট্রো রেল কতৃপক্ষের তরফে এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে। গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে প্রথম কাউন্টারলেস স্টেশন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এই স্টেশনটি।
গত বছরের অগস্ট থেকেই কলকাতা মেট্রো করিডোরের পার্পেল ও অরেঞ্জ লাইনের কয়েকটি স্টেশনে টিকিট কাউন্টার তুলে দেওয়া হয়েছে। পার্পেল লাইনে তারাতলা ও সখেরবাজার মেট্রো স্টেশনে এবং অরেঞ্জ লাইনের কবি সুকান্ত মেট্রো স্টেশনে আর এখন টিকিট কাউন্টার বা টিকিট বুকিং কর্মী নেই।
