কলকাতা পুরসভার উদ্যান বিভাগের মালিরা চুক্তিভিত্তিক কাজে নিয়োগ হন। ঠিকাদার সংস্থার মাধ্যমে পিএফ, ইএসআই কেটে মাসে বেতন মেলে ৮ হাজার থেকে ৮৫০০ টাকা । এমনিতেই মূল্যবৃদ্ধির বাজারে এই টাকা দিয়ে সংসার চলে না। তার উপর অভিযোগ, জানুয়ারি মাস থেকে বেতন বন্ধ। ক্রমশ দেনার দায়ে জড়িয়ে পড়ছেন কলকাতা পুরসভার চুক্তিভিত্তিক এই ঠিকা শ্রমিকরা।
advertisement
বকেয়া বেতনের পাশাপাশি নিয়মিত বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের পর অবস্থান করেন। বিক্ষুব্ধ কর্মীরা দেখা করলেন উদ্যান বিভাগের ডিজি কমল সরকারের সঙ্গে। এদিন দুপুরে কলকাতা পুরসভার কেন্দ্রীয় ভবনে পার্সোনেল বিভাগের সামনে থেকে মালিরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। বকেয়া বেতন মেটানোর দাবিতে স্লোগান দেন। পিএফ এবং ইএসআই বাবদ টাকা নির্দিষ্ট সময় জমা দেওয়ার দাবি করেন। বেতনের দাবি জানিয়ে এজেন্সির বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড বুকে টাঙিয়ে মিছিল করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন : অস্কারের আলোয় পাল্টায়নি জীবন, রঘুর পর নতুন হস্তিসন্তানের যত্নে ব্যস্ত দম্পতি বোম্মান ও বেল্লি
কলকাতা পুরসভার মূল ভবনে উদ্যান বিভাগের ডিজির ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। এছাড়াও আধিকারিকের ঘরের সামনেও বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারীদের দুই প্রতিনিধি যান ডিজির সঙ্গে দেখা করতে। বেরিয়ে তাঁরা জানান, তাঁদের সমস্যা নিয়ে কথা হয়েছে। ডিজি বিষয়টি পুর কমিশনার বিনোদ কুমার ও উদ্যান বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ সদস্য দেবাশিস কুমারকে জানাবেন। দ্রুত সমস্যার সমাধান করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন আন্দোলনকারীদের।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, যে সংস্থার বিরুদ্ধে বেতন না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, একটি আইনি জটিলতায় তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আদালতের নির্দেশে বন্ধ। তাই বেতনে বিলম্ব হচ্ছে। তবে সম্প্রতি অল্প করে প্রত্যেককে টাকা দেওয়া হয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষের তরফে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে কী ভাবে দ্রুত মালিদের বেতন মিটিয়ে দেওয়া যায়।
কলকাতা পুরসভার মালি সুশীল হালদার বলেন, ফুলের মেলায় মেতে ছিলেন পুরসভার কর্তাব্যক্তি থেকে আধিকারিকরা। সেই ফুল আমাদের হাতেই তৈরি হয়েছে। অথচ বেতন পাচ্ছি না।
বেতন না পেলে কি এবার থেকে কাজ বন্ধ করে দেবেন? প্রশ্নের উত্তরে সুশীল বাবু বলেন, " আমরা গাছকে শিশুর মত ভালবাসি। তাই টাকা না পেয়েও কোনো মতে কাজ করে চলেছি। কিন্তু এভাবে বেশি দিন হয় না। অবিলম্বে মিটিয়ে দেওয়া হোক বকেয়া। বেতন নিয়মিত করুক। পিএফ, ইএসএ-এর টাকা নিয়মিত জমা করুক পুর কর্তৃপক্ষ। না হলে পুরসভার কর্মীদেরই সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে যাবে।