২০১৫ সালে কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে (KMC Elections) ভোট পড়েছিল ৬৮.৫৬ শতাংশ৷ কমিশনের কর্তারা মনে করছেন, সর্বশেষ তথ্য এলে এবারের ভোট দানের হার ২০১৫ সালকেও ছাপিয়ে যেতে পারে৷ যদি তা নাও হয়, তাহলেও এই হার যথেষ্টই উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কর্তারা৷
আরও পড়ুন: উৎসবের মেজাজে নির্বাচন, ভোট দিয়ে বললেন মমতা, পুলিশকে দিলেন দরাজ সার্টিফিকেট...
advertisement
এ দিন সকালে অবশ্য ভোট দানের হার ছিল যথেষ্ট কম৷ সকাল ৯টা পর্যন্ত ভোট দানের হার ছিল মাত্র ৯.০৯ শতাংশ৷ বেলা এগারোটাতেও ভোট পড়েছিল ১৯ শতাংশের মতো৷ কমিশনের যুক্তি ছিল, যেহেতু শীতকালে ভোট হচ্ছে, তাই সকালের দিকে মানুষ সেভাবে বুথমুখী হননি৷ বেলা বাড়তে তাই ভোট দানের হার বেড়েছে৷
আরও পড়ুন: ভোট পরবের ছুটিতে পাতে চাই চিকেন-মটন! হাসি মুখে লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষ
কলকাতা পুরসভার পনেরোটি বরোর মধ্যে সবথেকে বেশি ভোট পড়েছে ১৩ নম্বর বরোতে৷ এই বরোতে ভোটদানের হার ৭৫ শতাংশের আশেপাশে রয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর৷ সম্পূর্ণ তথ্য এলে এই হার আরও বাড়ার কথা৷ মূলত বেহালা, হরিদেবপুর এলাকা নিয়েই ১৩ নম্বর বরো৷ যা শাসক দলের অন্যতম শক্ত ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত৷
এ দিন সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত অশান্তি বাদ দিয়ে মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভাবেই শেষ হয়েছে কলকাতা পুরসভা নির্বাচন৷ বিরোধীদের অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় বিরোধীদের ভয় দেখিয়ে ভোট করিয়েছে শাসক দল৷ যদিও উৎসবের মেজাজে ভোট হয়েছে বলেই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷