পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে বিজেপির করা আপিল এর আগে খারিজ করেছিল হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চও। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু শুক্রবার সেখানেও সেই দাবি খারিজ করে রাতে অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়ে জানিয়ে দিল আদালত। হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে, পুলিশের উপরেই পুরভোটের নিরাপত্তা নিয়ে আস্থা রাখছে আদালত। তবে পুরভোটের উপর কড়া নজর থাকবে হাইকোর্টের। কমিশনকে অতিরিক্ত দয়িত্বশীল হয়ে ভোট করাতে পরামর্শ আদালতের।
advertisement
আরও পড়ুন: পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, হিংসা হলে দায় রাজ্য ও কমিশনের: হাইকোর্ট
এ দিন ভোট পরবর্তী হিংসার নজির টেনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষে সওয়াল করেন বিজেপির আইনজীবী। তিনি জানান, 'খাস কলকাতাতেই বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারকে খুন করা হয়েছে। ৩ মে থেকে সন্ত্রাস হয়েছে রাজ্যে। বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে, খুন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা রাখতে পারছি না। প্রার্থীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। বাধা দেওয়া হচ্ছে প্রচারে। ভোটারদের সুরক্ষায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দরকার।'
আরও পড়ুন: ১১০০-র বেশি বুথ স্পর্শকাতর, ভোটের দিন কেমন হবে কলকাতা? নির্দেশ জারি কমিশনের
শুক্রবার কলকাতার পুরভোটে বাহিনী নিয়ে সঠিক তথ্য দিতে না পারায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে শুক্রবারের শুনানিতে তিরস্কার করেছেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। তিনি কমিশনের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, 'বিগত ভোটের পরিস্থিতি দেখে ভোটাররা ভোট দিতে এগিয়ে না এলে তার জন্য কী ব্যবস্থা করেছেন আপনারা?' কমিশনের আইনজীবী জানিয়েছেন, প্রচুর সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ১০ হাজারের কিছু বেশি। কিন্তু কমিশনের এই উত্তরে সন্তুষ্ট হয়নি আদালত।