এদিন ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন সুকান্ত মজুমদার। রাজ্য সরকার এবং পুলিশকে যথোপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আরজি জানিয়ে তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের এতদিন পরেও বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপর অত্যাচার চলছে। আসানসোলের বারবনি থানার অন্তর্গত গৌরাণ্ডি গ্রামে বাপি প্রধানকে মারধর করা হয়েছে। তাঁর মাকেও রেহাই দেয়নি তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীরা।"
advertisement
আরও পড়ুন: ভোটের আগে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দিতে শিবির কমিশনের, করোনা পরিস্থিতিতে কড়া নজর
নারী সুরক্ষা নিয়েও মা মাটি মানুষের সরকার কে এক হাত নিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর কথায়, "দুর্ভাগ্যবশত 'কন্যাশ্রী' পেয়েও বাংলার কন্যারা সুরক্ষিত নয়। বাংলায় মহিলারা সুরক্ষিত নয়। ফালাকাটায় প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে এক কলেজছাত্রীকে ব্লেড দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছে।"
আরও পড়ুন: কলকাতা পুরযুদ্ধে বাগবাজারে নারদ-নারদ! ব্যাপার কী?
অন্যদিকে, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের শুরুর দিনেই রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ১২ জন সাংসদকে। তাঁদের মধ্যে তৃণমূলের দুই মহিলা সাংসদ রয়েছেন। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল শিবিরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বললেন, ”অত্যন্ত লজ্জার বিষয় যে ১২ জন সাংসদ রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে দুই জন বাংলার মহিলা সাংসদ।” সম্প্রতি জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে ফাটল আরও চওড়া হতে দেখা গিয়েছে। সরাসরি কেউ কিছু না বললেও, ঠারেঠোরে নিজেদের অবস্থান বুঝিয়ে দিতে কোনও খামতি রাখছে না কোনও শিবিরই। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটা তাদের নিজেদের সমস্যা। ওদের মধ্যে মতবিরোধ থাকতেই পারে, কিন্তু ওদের প্রত্যেকের গোপন অভিসন্ধি একই।