আগামী সোমবার হাইকোর্টে রাজ্য ও কমিশনকে এই প্রশ্নে আদালতকে আশ্বস্ত করতে হবে। পর্যবেক্ষকদের মতে, আগামী বছর এপ্রিলের মধ্যে রাজ্যের সব বকেয়া পুরভোট সেরে ফেলা হবে বলে, ইতিমধ্যেই আদালতকে জানিয়েছে রাজ্য। কমিশনের সঙ্গে আলোচনাক্রমে সেই বিষয়ে প্রাথমিক রূপরেখা হলফনামা দিয়ে সোমবার আদালতকে জানাতেই পারে রাজ্য। তবে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়টি যেহেতু রাজনৈতিক ভাবে হাতিয়ার করেছে বিজেপি, সেক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা প্রশ্নে এই দাবি নিয়ে রাজ্য কতটা নরম মনোভাব দেখাবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে, আদলত যদি এ বিষয়ে কোন রফাসূত্র দেয়, নরমে গরমে তা মেনে নিতেও পারে রাজ্য। কিন্তু, বাকি পুরসভার সঙ্গে একসঙ্গে গণনার বিষয়টি বিবেচনা করার কোনও সুযোগই নেই বলে কমিশন সূত্রে ইঙ্গিত।
advertisement
আরও পড়ুন: পুরভোটে যাঁরা টিকিট পেলেন না, তাঁদের ভবিষ্যৎ কী? আশ্বাস সুকান্ত মজুমদারের গলায়
বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে রাজভবনে ডেকে আরেকবার তার সাংবিধানিক ক্ষমতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল ধনখড়। পরে রাজ্যপাল ট্যুইট করে দাবি করেছেন, আগামী সোমবার কমিশনার তাঁকে বাহিনীর বিষয়ে তাঁর পরিকল্পনা জানাবেন। যদিও, কমিশনের এক আধিকারিক বলেন, 'উনি সাংবিধানিক প্রধান। ডেকেছিলেন তাই কমিশনার দেখা করেছেন। আমরা যা বলার আদালতকেই জানাব।' পুরভোট ঘোষণা হতে না হতেই কার্যত ভোট আটকাতে চেষ্টার কোন কসুর করছে না বিজেপি। প্রথমে কলকাতা-সহ রাজ্যের সব বকেয়া পুরভোট একসঙ্গে করতে হবে বলে আদলতে যায় বিজেপি। কিন্তু, কলকাতা পুরভোট আটকানো যাবে না বুঝে হাওড়া কর্পোরেশন ভোট আটকাতে ঝাঁপায় বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি প্রকাশ্যেই জানিয়েছিলেন, 'হাওড়া কর্পোরেশনের ভোট যেভাবে করতে চাইছে রাজ্য আর তা হতে দেব না'। এই বিষয়ে নালিশ ও রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়ে রাজভবনে গিয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: 'নিজের সম্মান নষ্ট করবেন না', সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোনকে বললেন ফিরহাদ! কিন্তু কেন?
এরপরেই হাওড়া কর্পোরেশন সংশোধনী বিল নিয়ে সরব হন রাজ্যপাল। বিল নির্ধারিত সময়ে রাজ্যপালের অনুমোদন না মেলায়, শেষ পর্যন্ত হাওড়া কর্পোরেশনের ভোট আপাতত স্থগিত রেখে কলকাতার পুরভোট ঘোষনা করে দেয় রাজ্য ও কমিশন। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজভবনকে ব্যবহার করে আইনী পথে রাজ্যকে বেকায়দায় ফেলাই উদ্দেশ্য ছিল বিজেপির৷ রাজনৈতিক ভাবে সেই তাসই তারা খেলে হাওড়া কর্পোরেশনের ভোটে, কার্যত আটকে দেয় বিজেপি। কিন্তু সোজা পথে কলকাতা কর্পোরেশনের ভোট আটকানোর সুযোগ না থাকায়, ঘুরপথে কেন্দ্রীয় বাহিনী-সহ কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিজেপি৷ কিন্তু, সোমবার আদলতে রায় তাদের পক্ষে যাওয়ার সম্ভবনা নেই বুঝেই, পাশাপাশি রাজনৈতিক ভাবে আন্দোলনের কথা আগাম ঘোষণা করে দিয়ে কলকাতার পুরভোটে প্রাসঙ্গিক হতে চাইছে বিজেপি।