লিফটে করে এরপর উপরে উঠে যান। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি অসুস্থতাবোধ করায় ফোন করেন হোটেলের রিসেপশন ও নিজের ম্যানেজারকে। এরপর তাঁর ম্যানেজার এসে দেখেন কেকে পড়ে আছেন। সম্ভবত টেবিলে কোনায় লেগে মাথায় চোট লাগে বলে পুলিশের কাছে দাবি হোটেল কর্মী ও ম্যানেজারের। তাঁকে সোফায় বসানো হয়। তখন তাঁর শরীরে প্রায় সাড় ছিল না। এরপর হোটেলের গাড়িতে এসি চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। মঙ্গলবার প্রায় রাত ৯.৩৫ -৪০ নাগাদ বের করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। স্ট্রেচার করে লিফট করে নামানো হয় হোটেল থেকে। হাসপাতালে ১০ টা নাগাদ পৌঁছালে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
advertisement
আরও পড়ুন: অনুষ্ঠান শুরুর আগেই এসেছিল পুলিশ, ভাঙে ছাত্রের হাতও! নজরুল মঞ্চে ঠিক কী ঘটেছিল?
ওয়াকিবহল মহলের প্রশ্ন, কে কে অসুস্থ গাড়িতে বলা সত্ত্বেও কেন আগেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে না? হোটেলের গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলো অথচ অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হলো না কেন ? কেন তাৎক্ষনাত পুলিশের কাছে সাহায্য চাওয়া হলো না? পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর ম্যানেজারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। ঘটনাস্থলে থেকে রুমাল, খাবারের কিছু টুকরো, তোয়ালে বাজেয়াপ্ত করেন ফরেন্সিক আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: কীসের সেন্সর! কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের 'নিষেধাজ্ঞা' উড়িয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ, বিদ্রোহের ইঙ্গিত?
হোটেলে ঘটনার রাতে উপস্থিত কর্মীদের ফ্রিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করেছেন।কেকে-র মৃত্যুতে কলকাতাবাসী থেকে গোটা দেশবাসীর মন খারাপ। কেকে প্রোগ্রামের সময়ে অসুস্থ বোধ করা সত্ত্বেও কেন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল না? তাঁর মৃত্যুতে সকলের মন ভারাক্রান্ত। কলকাতায় কেকে-র শেষ শো হবে, এটা কেউ ভাবতে পারেননি। আর তাই এখনও অনেকেই বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে, কেকে আর নেই। তবে তাঁর গানের মধ্যে দিয়ে তিনি বেঁচে থাকবেন সকলের মধ্যে।