অনিয়মিত জীবনে নানা সুখ-দুঃখের গান গাইলেও গায়ক কিন্তু অবহেলা করতেন নিজের শরীরকে। স্টেজ প্রোগ্রাম থেকে রাতের পর রাত শো করলেও সঙ্গে রাখতেন সব সময় অ্যান্টাসিড।
আরও পড়ুন-মৃত্যুর কয়েক মিনিট আগে হোটেলের করিডোরে কী করছিলেন কেকে? ভাইরাল হল সিসিটিভি ফুটেজ!
গায়ক কেকে কলকাতায় এসে প্রথম তাঁর স্ত্রীকে অসুস্থতার কথা জানান। পুলিশ সূত্রে খবর, গায়ক ৩০ মে কলকাতায় পা রাখেন, সেই দিন ঠাকুরপুকুরের এক কলেজের অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে ফোনে স্ত্রীকে তাঁর হাত ও কাঁধে ব্যাথার কথা জানান। বুধবার কেকে যে কলকাতার পাঁচতারা হোটেলে ছিলেন সেই হোটেলে লালবাজারের পুলিশ কর্তা থেকে ফরেনসিক টিম গিয়ে রুমের পরীক্ষা করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান শেষ হয় ৮.৪৫ মিনিট নাগাদ, ৯.১৫ মিনিট নাগাদ হোটেল পৌঁছে যান কেকে। হোটেলে ঢোকার সময় তাঁর ভক্তদের অনুরোধে ছবিও তোলেন, তা হোটেল কর্মীদের মাধ্যমে জানতে পেরেছে পুলিশ।
advertisement
হোটেলের গেট থেকে যখন লিফটে ওঠেন নিজের ঘরের উদ্দেশ্যে তখন কেকে যে অসুস্থ তা বোঝা যায়, পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখতে পায় লিফটে থাকা হাতল ধরে কেকে মাথা নীচু করে আছেন, তা স্পষ্ট করছে যে কেকে ভাল নেই। আঠেরো বছরের পুরানো ম্যানেজারকে নিজের ঘরে যেতে বলে কেকে নিজের ঘরের মধ্যে চলে যান বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। পরে সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখে আরও জানা যায়, যে ২ মিনিটের মধ্যে কেকে অসুস্থতা বোধ করায় ঘরের বাইরে এসে কর্মীদের খোঁজ চালান, পরে নিজেই ঘরের মধ্যে থাকা ফোন দিয়ে প্রায় পাঁচ জন কর্মীকে ডাকেন কেকে।
কর্মীরা এসে তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখে হতবাক হলেও জানতে পারেন অসুস্থতার জন্য পড়ে গিয়েছেন গায়ক। ঘরে থাকা টেবিলের অংশে মাথায় আঘাত লাগে। তার মধ্যে অসুস্থতার খবর হোটেলের পক্ষ থেকে ফোন মারফত জানানো হয় এক চিকিৎসককে ৷ তার কাছে বিস্তারিত সব বলার পর দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। যদিও নামী হোটেলে কোনও অ্যাম্বুল্যান্স না থাকায় হোটেলের গাড়ি করেই একবালপুরের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কেকে-কে। পুলিশ সূত্রে খবর, হোটেল ও নজরুল মঞ্চের সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে ও বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।