অনুষ্ঠানের সমস্ত তথ্য স্থানীয় থানাকে জানাতে হবে। অনুষ্ঠানে সিট সংখ্যা যত, সেই সংখ্যার বেশি পাস বা টিকিট ছাপানো যাবে না। অনুষ্ঠানের সময় অ্যাম্বুলেন্স রাখা বাধ্যতামূলক। এই সমস্ত নিয়মের কথা স্পষ্ট করে দেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল।
আরও পড়ুন- চোখ বুজলেই টাকা, জিনিস হাওয়া! রাতের এনআরএস হাসপাতাল 'ওদের' স্বর্গরাজ্য
advertisement
নজরুল মঞ্চে গায়ক কেকে-র মৃত্যুর পর শহরের অন্য অডিটোরিয়ামগুলোতে দেখা মিলল পর্যাপ্ত ব্যবস্থার। শনিবার সায়েন্স সিটি ও কলামন্দিরের অনুষ্ঠানে দেখা মিলল পুলিশ ও অ্যাম্বুলেন্সের। এছাড়াও শহরের অন্য অডিটোরিয়ামগুলোতেও এই ঘটনার পরে নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছেন উদ্যোক্তারা।
কোথায় কত আসন সংখ্যা?-
★ সাইন্সসিটিতে ২২৩২ জনের আসন
★ কলামন্দিরে ১১০০ জনের আসন
★ কলাকুঞ্চে ৩৬৪ জনের আসন
★ উত্তম মঞ্চে ৫৭০ জনের আসন
★ মিনার্ভা থিয়েটারে ৩৩০ জনের আসন
★ স্টার থিয়েটারে ৫০৪ জনের আসন
★ মহাজাতি সদন ১০৮০ জনের আসন
★ নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে ১১০০০ হাজার আসন সংখ্যা, যদিও ফ্লোরে চেয়ার দিয়েও আসন তৈরি করা যায়।
সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্স চালক জানালেন, অনুষ্ঠানের জন্য তাঁকে থাকতে বলা হয়েছে। অনুষ্ঠান শেষ হলেই চলে যাবেন বলে জানালেন অ্যাম্বুলেন্স চালক প্রেমচাঁদ কোনাদ।
এদিকে নজরুল মঞ্চের এই ঘটনার পর শহরের অন্য অডিটোরিয়ামের কর্তাদের আরও সজাগ করেছে। করোনার পরে গায়কদের দেখা মিলছে অডিটোরিয়ামে। তবে অডিটোরিয়ামের কর্তারা আগের থেকে এখন অনেক বেশি তৎপর ও সাবধানী।
আরও পড়ুন- গাছ কাটা নিয়ে পূর্বতন বাম সরকারকে খোঁচা মেয়র ফিরহাদ হাকিমের
উত্তম মঞ্চের ইনচার্জ মিন্টু দাস জানান, এখন ৬০-৭০ % লোক রাখার জন্য বলছি, তার থেকে বেশি যেন না হয়! শহরের অডিটোরিয়ামগুলো যে আগামীদিনে আরও কঠোর ব্যাবস্থা নেবে, তা বলাই বাহুল্য।
যদিও শহরের বেশিরভাগ অডিটোরিয়ামে নির্দেশিকা না আসায় দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে আছেন উদ্যোক্তাদের একাংশ। তবে নিয়ম ভবিষ্যতে বহাল থাকবে কি না এখনই তা বলা মুশকিল।