২০২১-এর বাংলার নির্বাচনে ঝড় তুলেছিল একটাই স্লোগান, ‘খেলা হবে’। রাজ্যের গন্ডি ছাড়িয়ে সেই ‘খেলা হবে’ স্লোগান আজ দেশের নানা প্রান্তে উচ্চারিত হচ্ছে। বাংলায় যিনি খেলা হবে স্লোগানকে ব্যাপক জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন তিনি হলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)। আর আজ সেই '‘খেলা হবে" স্লোগানের জন্মদিন (Khela Hobe Slogan)।
আরও পড়ুন-২০২২ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে এই ৭ কাজ না করলে দিতে হবে জরিমানা!
advertisement
বাংলার বিধানসভা ভোটের ময়দানে দাঁড়িয়ে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘আসুন, খেলা হয়ে যাক।’’ তাঁর অন্যতম সেনাপতি অনুব্রত মণ্ডলের হুঙ্কার ছিল, ‘‘ভয়ঙ্কর খেলা হবে।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পাল্টা জানিয়েছিলেন, ‘‘আমরাও বলছি খেলা হবে। তোমাদের খেলা শেষ হয়ে গিয়েছে।’’ ‘খেলা হবে’-র বার্তা দিয়ে নবান্ন অভিযান করেছেন বাম ছাত্র-যুবরা। হুমকিতে, চ্যালেঞ্জে, গানে, প্যারোডিতে, পোস্টারে, সোশ্যাল মিডিয়ায় গত এক বছর ধরে বার বার ট্রেন্ডিং হয়েছে, খেলা হবে, খেলা হবে! সেই "খেলা হবে" গানের আজ জন্মদিন এমনটাই বলছেন দেবাংশু। দেবাংশু জানিয়েছেন, "দেখতে দেখতে এক বছর!
এই স্লোগান আমার কাছে সন্তানের মত। এই স্লোগান আমার কাছে আবেগ। রাস্তাঘাটে আজও কেউ দেখলে যখন ‘খেলা হবে’ বলে সম্মোধন করেন, ভেতরে ভেতরে বড্ড আনন্দ পাই।
বাকি আর নতুন করে কি বলব? সবটাই ইতিহাস। ভারতবর্ষের এযাবৎকালের কোন স্লোগান নিয়ে এই পর্যায়ে পৌঁছেছে কিনা সন্দেহ আছে..। তাই, ‘হ্যাপি বার্থডে #খেলাহবে’৷
আরও পড়ুন-মকর সংক্রান্তিতে সূর্য এবং শনির মিলন, এই নিয়ম মেনে চললে আপনিও হতে পারেন ধনকুবের!
বিধানসভা ভোটের আগে 'খেলা হবে' স্লোগান দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই স্লোগানটি জনপ্রিয় হয়েছিল গোটা বাংলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দলের শীর্ষ নেতাদের সভা হোক বা তৃণমূলের কর্মসূচি সবেতেই ছিল, ‘খেলা হবে’। প্রশাসনিক মহলেও ‘খেলা হবে’ এখন পরিচিত। খেলা হবে দিবস পালন করছে রাজ্য সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ‘‘খেলা ছাড়া জীবন চলে না। খেলার মধ্যে দিয়ে ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সুস্বাস্থ্য গড়ে ওঠে। জাপানেও অলিম্পিক চলছে। খেলা হবে স্লোগানটা চিরস্থায়ী করা দরকার। বিভিন্ন খেলা ও কর্মসূচির মাধ্যমে খেলা হবে স্লোগানকে কার্যকরী করতে হবে। স্লোগানটা এতটাই জনপ্রিয়, যখন নির্বাচনের সময় গ্রামেগঞ্জে যেতাম, আমি নামতে না নামতেই চিৎকার শুরু হয়ে যেত- খেলা হবে।’’