নন্দিতা সিনহার অভিযোগ বিজেপি প্রার্থী বিনা অনুমতিতে তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করে আশীর্বাদ নিয়েছে ও ফটোতে মাল্যদান করেছেন। পাশাপাশি কাজল সিনহার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে তিনি তাঁর নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। এই অভিযোগ সম্পর্কে বিজেপি প্রার্থী জয় সাহা বলেন, "খড়দহ বিধানসভা উপনির্বাচন হচ্ছে শ্রদ্ধেয় কাজল সিনহার মৃত্যুর জন্য। আর খড়দহ বিধানসভার উপনির্বাচনের প্রচারে এসে আমার মনে হয়েছে আমার তাঁকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা উচিত। তাই আমি তাঁর বাড়িতে গিয়েছি। শ্রদ্ধা জানিয়েছি। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্কই নেই।"
advertisement
আরও পড়ুন-কাল থেকে সুকান্তর জেলাসফর, রথের সারথী সেই দিলীপ ঘোষই! যে প্রশ্ন উঠছে
উল্লেখ্য নন্দিতা সিনহা তাঁর অভিযোগপত্রে লিখেছেন, আমার স্বামী কাজল সিনহা ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। আমার স্বামীর ছবি দিয়ে বিরোধী দল বিজেপি প্রার্থী জয় সাহা আমার অনুমতি ছাড়া প্রচারের কাজ করে চলেছে। সেটা আমার এবং পরিবারের এবং পুরাতন কাজল সিনহার সম্মানহানি।
উল্লেখ্য কাজল সিনহা খড়দহের পরিচিত নাম। প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়ে তিনি সুনাম রক্ষা করেছিলেন। বড় ব্যবধানে জয়লাভ করেন। কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হয়ে পরলোক গমন করেন তিনি। ফলে অনিবার্য হয়ে পড়ে খড়দহের উপনির্বাচন। এদিকে জিতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভবানীপুর থেকে লড়ার জন্য আসন ছেড়ে দেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। স্থির হয় তিনি এই আসনেে লড়বেন। শোভনদেহ হেভিওয়েট, সম্প্রতি তাঁর উচ্চতা/জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে ভবানীপুর ঘটনায়। পাশাপাশি খড়দহে কাজল সিনহার মৃত্যু মানুষের মনে তাঁর প্রতি আরও বেশি অনুরাগ সঞ্চার করেছে। সব মিলিয়েই পর্যবেক্ষকরা তৃণমূলকে কয়েক যোজন এগিয়ে রাখছেন এই উপনির্বাচনে। সেই তুলনায় জয় সাহা আনকোরা। সেই কারণেই কি তিন চাইছেন, কাজল সিনহা সেন্টিমেন্টকেই সুড়সুড়ি দিয়ে কিছু ভোট ঘরে তুলতে? প্রশ্নটা থাকছে।