এখানেই বেশ মজা। কেরোসিন তেলের দাম বর্তমানে ৬৫ টাকা লিটার। এপ্রিল মাস থেকে ৭৮ টাকা লিটার হবে বলে শোনা যাচ্ছে। যেহেতু কেরোসিন তেলের দাম লিটার পিছু অনেকটাই বেশি।সেহেতু কেরোসিন তেল রেশন সবাই নিচ্ছে না। রাজ্যের বেশিরভাগ মানুষের রান্নার গ্যাস রয়েছে। বাড়িতে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ রয়েছে। অতএব কেরোসিন তেল বেশিরভাগ পরিবারে কোন কাজেই লাগে না বলে দাবি অনেকের। কেরোসিন ডিলারদের বক্তব্য, 'কেরোসিনে লিটার প্রতি লাভ থাকে একটা থেকে দেড় টাকা। উপরন্তু তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার জন্য তেল কিনতে মূলধন লাগে অনেকটাই। তার উপর গোডাউনে ওই তেল পড়ে থাকে। যার ফলে অনেকটাই আর্থিক ক্ষতি হয়।'
advertisement
আরও পড়ুন: মিলবে ২৭.৫২ শতাংশ রিটার্ন, বিনিয়োগের জন্য এই মানি মার্কেট ফান্ড আদর্শ!
এই সুযোগ নিয়েছে কেরোসিন তেলের এজেন্সি এবং বেশকিছু কেরোসিন তেল ডিলার। তারা অন্যান্য ডিলারদের কাছ থেকে কেরোসিন তেল সংগ্রহ করে বিক্রি করছে চোরাই মার্কেটে। আর এই চোরাই কারবারের মূল পিঠস্থান হয়ে উঠেছে কাকদ্বীপ মহকুমা এলাকা। ওই মহাকুমা এলাকার বিজয় মালী নামে কেরোসিন তেল ডিলার নেতা।তিনি বিভিন্ন ডিলারদের কাছ থেকে কেরোসিন তেল সংগ্রহ করে বিক্রি করছেন চোরাই বাজারে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বড়লোক হয়ে গিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা, কী এই জিলিকা ক্রিপ্টো?
ওই এলাকায় যেন উভয় সংকট।পুলিশ কেরোসিন তেল রেড করে বাজেয়াপ্ত করছে। প্রশ্ন, প্রতি সপ্তাহ এবং মাসে যেভাবে কেরোসিন তেল জমছে, সেই কেরোসিন তেল নেওয়ার লোক কোথায়? কেরোসিন তেল মজুত রাখার অপরাধে বেশ কয়েকজন জেলও খেটেছে। অনেকেরই প্রশ্ন, কেরোসিন তেল কি তাহলে জলে ভাসিয়ে দেব? আর সেই কেরোসিন তেল নিয়ে মাফিয়া রাজ চলছে কাকদ্বীপ,ফ্রেজারগঞ্জ,পাথরপ্রতিমা,সাগরদ্বীপের বিভিন্ন এলাকাতে।