কলকাতার কসবায় কলেজ ধর্ষণ মামলার মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র এবং তার দুই সঙ্গী প্রমিত মুখোপাধ্যায় ও জাইব আহমেদ। এদিকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল কলেজের নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর বিরুদ্ধে দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগ আছে। চার্জশিটে পুলিশ বলে, কাউকে কিছু না নিয়ে বা পুলিশ না ডেকে নিরাপত্তারক্ষী গার্ডরুম বন্ধ করে রেখেছিল। তবে সেই পিনাকীর জামিন হয়ে যায়। নিরাপত্তারক্ষীর জামিন বাতিল চেয়ে মামলা দায়ের করে নির্যাতিতা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জমি বিবাদের জের আক্রান্ত মা-ছেলে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে মা! গ্রেফতার এক
নির্যাতিতা ছাত্রী জানিয়েছিলেন, গত ২৫ জুন দুপুর ১২টা ০৫ মিনিট নাগাদ তিনি কলেজে ঢোকেন। কলেজে কিছু কাজ মিটিয়ে ইউনিয়ন রুমে বসে ছিলেন তিনি। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ তিনি বাড়ি যাওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করেন। তখন তাঁকে আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেছিল অভিযুক্তরা। এরপর তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল মনোজিতে। পরে ধর্ষণ করা হয়েছিল সেই ছাত্রীকে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা ৫০ মিনিট, প্রায় ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিট ধরে কলেজের গার্ডস রুমে অকথ্য নির্যাতন চলে। পুলিশ সেই সব দাবির সত্যতা যাচাই করেছে। এই আবহে মনোজিতের বিরুদ্ধে ৯টি ধারা, প্রমিত ও জাইবের বিরুদ্ধে ৬টি ধারা, বাকি পিনাকীর বিরুদ্ধে ৭টি ধারা দিয়ে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। মামলায় গণধর্ষণ ছাড়াও জোর করে আটকে রাখা, বিপজ্জনকভাবে গুরুতর আঘাত করা, প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি, অপহরণ এবং একই উদ্দেশ্যে একাধিক ব্যক্তি অপরাধ সংগঠিত করার মতো একাধিক ধারা প্রয়োগ করেছে পুলিশ।
