রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় দশ লক্ষ টাকা ঋণ, খোলা বাজারে একাধিক ব্যক্তির কাছে ঋণ প্রায় দেড় লক্ষ। ঋণ পরিশোধ করতে বিক্রি করতে চেয়েছিলেন সম্পত্তি। মামা ও মামির তরফে বাধা আসতেই আত্মঘাতী হন সোমনাথ রায় ও তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা। তদন্তে নেমে এমনই দাবি কলকাতা পুলিশের।
advertisement
দেওয়ালে মামা মামির নাম ছাড়াও লেখা রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের লোন রিকভারির এজেন্টের নামও। দিন কয়েক আগে ওই এজেন্ট এসে টাকা দাবি করেছিলেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। এবার ওই এজেন্টকে ডেকে পাঠাতে চলেছে পুলিশ। মামা-মামিকে গ্রেফতারের পর এবার কি ওই ব্যাঙ্ককর্মীকেও হেফাজতে নেবেন তদন্তকারীরা?
সূত্রের খবর, সুইসাইড নোটে সম্পত্তি বিবাদের কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি নিজের মামা ও মামির বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগও এনেছেন সোমনাথ। ধৃত প্রদীপকুমার ঘোষাল এবং নীলিমা ঘোষালকে আগামিকাল বুধবার আদালতে হাজির করিয়ে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ। প্রদীপবাবু কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কর্মী। মৃত সোমনাথ রায়ের শ্বশুর ও শ্যালিকার আনা অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃতদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
অমিত সরকার