রাজ্যের সওয়াল, অপরাধীরা নিম্ন আদালতে সাজাপ্রাপ্ত। হাইকোর্টের নির্দেশের ফলে তারা মুক্তি পেতে চলেছেন। তাদের মুক্তি আটকে আমাদের আর্জি শুনুন। বিচারপতি গাভৈ বলেন, অভিযুক্তরাও এদেশের নাগরিক। কোন আইনে তাদের মুক্তি আটকানো যায়? রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বাল বলেন, সিআরপিসি ৩৮৯ ও ৩৯০ ধারা অনুযায়ী উচ্চ আদালত নিম্ন আদালতের রায় স্থগিত করে অপরাধীদের মুক্তির রোধ করতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: ৫ রাজ্যের ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা নির্বাচন কমিশনারের, রইল সম্পূর্ণ সূচি
সুপ্রিম কোর্ট এরপর জানায়, সবার বক্তব্য না শুনে এটা করা যায় না। সাত দিনের মধ্যে সবাই বক্তব্য জানাক। কামদুনি-কাণ্ডে বেকসুর খালাসদের জেলমুক্তির বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য। বিচারপতি বিআর গাভৈ, বিচারপতি পি নরসিমা ও বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রর বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছে রাজ্য।
আরও পড়ুন: শুধু সাংসদ বা মন্ত্রীরা নন, রাজ্যপাল-তৃণমূল সাক্ষাতে থাকবে ভুক্তভোগীদের চিঠি
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৩ সালের ওই নৃশংস ঘটনার রায় প্রকাশ করে। এর আগে ওই মামলায় ফাঁসির সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত। সেই সাজা কমিয়ে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, দোষী সাব্যস্ত সইফুল আলি এবং আনসার আলিকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের শাস্তি ভোগ করতে হবে। এ ছাড়া আর এক ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আমিন আলিকে বেকসুর খালাস করে হাইকোর্ট।
নিম্ন আদালত আমৃত্যু জেলের সাজা দিয়েছিল আরও তিন দোষী সাব্যস্ত ইমানুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম এবং ভোলানাথ নস্করকে। ১০ বছর জেল হয়ে গিয়েছে, এই যুক্তিতে তাদেরও সাজা মকুব করে আদালত। রাজ্য সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে, এই ধরনের অপরাধের অপরাধী বেকসুর খালাস পেলে রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার সমস্যা হবে। তাই হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ চায় তাঁরা।