শুধুমাত্র গ্রুপ সি নিয়োগে, প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে ৩৮১ জনকে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল। প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে শূন্যপদের তথ্য নিয়ে বেআইনিভাবে সেই তথ্য কাজে লাগিয়েছেন এসএসসি উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহা এবং সুপারিশ পত্র ছাপানোর কাজ করেছিলেন সমরজিৎ আচার্য। শান্তি প্রসাদ সিনহা নিজে ভুয়ো সুপারিশ পত্র কল্যাণময় গাঙ্গুলিকে দিতেন। কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় সেই সুপারিশ পত্রের ভিত্তিতে টেকনিকাল অফিসার রাজেশ লায়েক কে দিয়ে নিয়োগপত্র তৈরি করতেন। CD, পেনড্রাইভ, ই- মেলের মাধ্যমেও এই সুপারিশ পত্র তারা পেতেন।নিয়োগপত্র দেওয়া হত এসএসসি র নব নির্মিত ভবনে।
advertisement
এই ভবনকে কখনই ঘোষিত (notified) করা হয়নি। কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এবং শান্তি প্রসাদ সিনহার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 120B ধারায় মামলা রুজু করা উচিত বলে জানায় বাগ কমিটি। প্যানলে প্রকাশের সময় SSC স্বচ্ছতা বজায় রাখেনি।আদালতের নির্দেশে প্যানেল ওয়েবসাইটে আপলোড করার আগেও তাতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুমোদনের ভিত্তিতে যে উপদেষ্টা কমিটি হয়েছিল তাকেও বেআইনি বলে কমিটি। এসএসসি র অফিস থেকেই এই সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল। স্ক্যান সই ব্যবহার করে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়। গ্রুপ সি নিয়োগে, ৩৮১ জনের মধ্যে ২২২ জনের নাম কোন প্যানেল বা ওয়েটিং লিস্টে ছিল না।
আরও পড়ুন: বড় খবর! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় CBI-এর হাতে গ্রেফতার কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়
এরা পার্সোনালিটি টেস্টে অংশ গ্রহণ করেনি, কারণ এরা কেউ লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেনি। অশোক কুমার সাহা, সৌমিত্র সরকার, শান্তি প্রসাদ সিনহার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে পদক্ষেপ করা উচিত। কারণ এরা প্যানেলের পুনর্মূল্যায়ন করে Rank পরিবর্তন করেছে। বিভিন্ন আঞ্চলিক এসএসসি অফিসের দায়িত্ব সামলানো,শর্মিলা মিত্র, চৈতালি ভট্টাচার্য, শুভজিৎ চ্যাটার্জী, মহুয়া বিশ্বাস, শেখ সিরাজউদ্দিন এবং এসএসসি তৎকালীন চেয়ারম্যান সুবিরেশ ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধেও নিয়ম বহির্ভূত ভাবে কাজ করার জন্য শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে পদক্ষেপ করা উচিত বলে জানায় বাগ কমিটি।
ARNAB HAZRA