জেলাশাসকরাই লাইসেন্স দিতে পারবে গ্রিন বাজি বিক্রি ও মজুদ করার জন্য। পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সক্লুসিভ সেফটি অর্গানাইজেশন (পেসো) ও নীরির ছাড়পত্র পাওয়া গ্রিন বাজি বিক্রির জন্য লাইসেন্স পাবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি বাজির বাক্স ও গায়ে লোগো ও কিউআর কোড থাকতে হবে। গোটা রাজ্য প্রায় দশ হাজার লাইসেন্স দেওয়া হবে। প্রতিটি জেলাকে এই নির্দেশিকা দিল রাজ্যের দমকল দফতর।
advertisement
ইতিমধ্যেই কালীপুজোয় সবুজ বাজির ব্যবহার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস সেফটি অরগানাইজেশনরা বাজি বাজারের উপর নজরদারি রাখতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সবুজ বাজি নিয়ে আরও কড়া হোক পুলিশ, সাফ বার্তা আদালতের।
এই প্রসঙ্গে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বাজি বাজারে যাতে শুধুমাত্র সবুজ বাজি বিক্রি হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। আদালতের নির্দেশ কতটা কার্যকর হয়েছে, তার রিপোর্ট জমা দেবে কলকাতা পুলিশের কমিশনার। কালীপুজোর পরে আদালত খুললেই এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
গত বছর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও এখনও সবুজ বাজি নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে পারেনি রাজ্য। সবুজ বাজি বিক্রির লাইসেন্স না পেয়ে ব্যবসায়ীরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। মূলত শিলিগুড়ির বাজি বিক্রেতাদের একটি সংগঠন লাইসেন্সের আবেদন করে। এরইমধ্যে মঙ্গলবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে শুনানিতে স্পষ্ট হয়ে যায় রাজ্যে সবুজ বাজির তৈরির জায়গা নেই।