সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘‘ওনাকে আটকে রাখতেই এখন এসে গ্রেফতার করতে চাইছে সিবিআই। ২৫ নভেম্বর ইডি মামলায় হাইকোর্টে জামিনের আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। তারপরই সিবিআই শ্যোন অ্যারেস্ট করতে চেয়েছে। তাতে বোঝা যাচ্ছে ওনাকে আটকে রাখতেই হেফাজতে চাইছে। ৬৩ বছরের বৃদ্ধ। অসুস্থ। ওনার বাড়িতে এর আগে অভিযান চলেছে। জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে। আগেও অ্যরেস্ট করতে পারত। যেকোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক।’’
advertisement
আরও পড়ুন: জল খেয়েই কমবে ডায়াবেটিস! শুধু খেতে হবে এইভাবে…ম্যাজিকের মতো কমবে ব্লাড সুগার, এখনই জানুন
পাল্টা সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে জামিনের বিরুদ্ধে বলেন, ‘‘সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র দুর্নীতিগ্রস্ত। দুর্নীতিতে যোগ রয়েছে। তদন্তের প্রয়োজনে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। তলব করা হয়েছিল। নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই সব নথি খতিয়ে দেখেই এখন তদন্তের প্রয়োজনে সুজয়কে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন রয়েছে। সুজয়, শান্তনু, কুন্তল এরা অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের কাছে থেকে ঘুষ নিয়েছে। টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে তালিকা পাঠিয়ে তাদের চাকরির ব্যবস্থা করা করেছে সুজয় ভদ্র। আমরা হেফাজতে চাইছি কারণ তদন্তের এই পর্বে এগোতে তাকে হেফাজত নেওয়া দরকার । তদন্তে যে নতুন তথ্য যা এসেছে তা এক্সজামিন করার জন্য কাস্টডি দরকার।’’
ঘটনায় আদালতের পর্যবেক্ষণ ‘‘আবেদন যে দিন হয়েছিল আমার প্রশ্ন ছিল কেন এতদিন পর হেফাজতে চাইছেন? ওনারা যে কেস ডায়েরি জমা দিয়েছিলেন তাতে সন্তুষ্ট হয়েই আমি অর্ডার দিয়েছিলাম। আপনার মক্কেল যদি দিনের পর দিন না আসে তা ওনার বিরুদ্ধে যাচ্ছে। সিবিআইয়ের এখানে কোনও ভূমিকা নেই।আদালত সব দেখছে, সব বোঝে। আমি দেখব কি ভাবে ওনাকে সশরীরে হাজির করানো যায়। সব ক্ষেত্রে টাইমলাইন ধরে জামিনের আবেদন করবেন না কেজরিওয়ালের নির্দেশ বলবেন না… প্রতিটি মামলার ইউনিক ফিচার আছে।’’