এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কালীঘাটের মন্দিরের জন্য রিলায়্যান্স সোনার চূড়াটা করছে আর ভিতরের কাজ কিছু করছে। ওদের খরচ ৩৫ কোটি টাকা, আমরা দিচ্ছি ১৬৫ কোটি টাকা। কালীঘাটের মন্দির জন্য যত তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করা যায়, আমরা দেখছি৷’’ এছাড়া, দিঘায় যে জগন্নাথ মন্দির তৈরি হচ্ছে, তাতে ২০৫ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানান মমতা।
advertisement
আরও পড়ুন: মিশন চব্বিশ! ৩৫ আসনের লক্ষ্যপূরণে একাধিক বড় সিদ্ধান্ত..বৈঠক শেষে কী ঠিক করল বঙ্গ বিজেপি?
মুখ্যমন্ত্রী জানান, এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় মোট ২৫০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে৷ জানান, গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি নিয়ে ফের কেন্দ্রের কাছে তিনি আবেদন জানিয়েছেন বলে জানান মমতা৷ তিনি বলেন, ‘‘গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে আমি আজ আবার চিঠি দিচ্ছি। ২৫০ কোটি টাকা এবার খরচ করেছি। আমার ধারণা ১ কোটির উপর লোক ছড়িয়ে যাবে গঙ্গাসাগর মেলা। বাংলার এই মেলা কেন জাতীয় স্বীকৃতি পাবে না? তাই আমি আজ আবার চিঠি দিলাম।’’
এদিন ‘ওয়ান নেশন, ওয়ান ইলেকশন’ প্রস্তাব নিয়ে বিরোধিতা করে কেন্দ্রের মোদি সরকারের কাছে চিঠি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ ওয়ান নেশন, ওয়ান ইলেকশন নিয়ে কেন্দ্রের গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির চেয়ারম্যান নীতেন চন্দ্র-কে চিঠি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতীয় সংবিধান কি একে মান্যতা দেয়? চিঠিতে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর প্রসঙ্গ নিয়ে এর আগেও বিরোধিতা করেছে একাধিক বিরোধী দল৷ সে তালিকায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও৷ সেই সূত্রেই এ বার চিঠি দিয়ে এই বিষয়ে বিরোধিতা জোরাল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি চিঠিতে প্রশ্ন তুললেন, ‘আমদের সংবিধান যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে মান্যতা দেয়। সংবিধানে বলা হয়েছে একটা কেন্দ্রীয় সরকার আর নানা রাজ্যে সরকার থাকবে। যদি সংবিধান প্রণেতারা ওয়ান নেশন, ওয়ান ইলেকশনকে মান্যতা না দেয়, তাহলে কী করে সেই ধারণায় আপনারা পৌঁছে যাচ্ছেন? এক সঙ্গে সংসদীয় ভোট ও বিধানসভার ভোট কী করে করবেন?’