কালীগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে গত ১৯ জুন উপনির্বাচন হয়। সোমবার উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশ (Kaliganj By Election Result) ছিল। গণনার শুরু থেকেই ব্যবধান বাড়াতে বাড়াতে এগিয়ে চলেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ। শেষমেশ কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রত্যাশিত ভাবেই বড় জয় পায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস৷
advertisement
সূত্রের খবর, উপনির্বাচনে জয় নিশ্চিত হতেই বিজয়মিছিল বের করে তৃণমূল। অভিযোগ, সেই মিছিল থেকেই বোমা ছোড়া হয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় নাবালিকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
ঘটনার কথা সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে শোকপ্রকাশ করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ লিখেছেন, ‘কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার বারোচাঁদগড়ে বিস্ফোরণে নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় আমি স্তম্ভিত এবং গভীর ভাবে মর্মাহত৷ তাঁর পরিবারের পাশে আছি৷ আসামিদের ধরতে কড়া এবং আইনি যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেবে পুলিশ৷’
তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শুরু করে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য X-এ লিখেছেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের উদযাপন শেষ হল রক্তে রাঙা হাত দিয়ে। আবারও বলছি। কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয় সমাবেশ থেকে বোমা ছোঁড়া হয়েছিল, এবং সেই বিশৃঙ্খলার মধ্যে একটি ছোট মেয়ে, চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী, নিহত হয়েছে। এটা এবার বুঝে দেখুন।”
প্রসঙ্গত, কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রত্যাশিত ভাবেই বড় জয় পেয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস৷ কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে দাবি করেছেন, তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ কালীগঞ্জ থেকে ৪৯,৭৫৫ ভোটে জয়ী হয়েছেন৷