স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ১৭০৩ খ্রিস্টাব্দে উদয় নারায়ণ ব্রহ্মচারী নামে এক তান্ত্রিক মাটি দিয়ে সিদ্ধেশ্বরী কালী মূর্তি তৈরি করেছিলেন।সে সময় এই মন্দিরে আকারে বেশ ছোট ছিল, তাল পাতার ছাউনি, মাটির দেওয়াল ছিল মন্দিরের। জায়গাটিও ছিল জঙ্গলাকীর্ণ, তেমন লোক-বসতি ছিল না ওখানে।
আরও পড়ুন: মৌতড় কালী মন্দিরে সকাল থেকেই ভিড় জমিয়েছে হাজার হাজার ভক্ত! পুজো থাকে বিশেষ রীতি
advertisement
পরে শঙ্কর ঘোষ নামে এক ধনী ব্যক্তি ১৮০৬ খ্রিস্টাব্দে, এখন যে কালী মন্দিরটি দেখা যায় কলেজ স্ট্রিটে সেটি নির্মাণ করেন। তিনি বর্তমান ঠনঠনিয়া কালীমন্দিরটি নির্মাণ করেন। সঙ্গে আট চালায় মন্দির তৈরি করেন পুষ্পেশ্বরের। এখানে শিবের নাম পুস্পেশ্বর।
ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির মূর্তিটি প্রতিবছরই সংস্কার হয়। এটি মাটির মূর্তি। কালো আর লাল রং দিয়ে মূর্তিটি রং করা হয়। ঠনঠনিয়া কালীবাড়িতে জৈষ্ঠ মাসে কালী পুজো হয়, ফলহারিণী অমাবস্যায়। কার্তিক অমাবস্যায় আদি কালীর পূজা ও মাঘ মাসে হয় রটন্তী কালীর পুজো।
আরও পড়ুন: সাধক রামপ্রসাদের গুরুর প্রতিষ্ঠিত এই মন্দিরে কালীপুজোয় ভিড় জমায় হাজারো ভক্ত! পুজো শুরুর রীতিও অভিনব
জানা গিয়েছে, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব যখন ছোটবেলায় কলকাতায় আসেন, তখন এই এলাকাতেই থাকতেন। এই ঠনঠনিয়া কালীবাড়িতে এসে তিনি মা কালীকে গান শোনাতেন। তাই রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে সাধুরা প্রত্যেকেই কালী পূজোর দিন নিয়ম করে প্রতিবারই আসেন এই মন্দিরে।
এই মন্দিরে এসে রামকৃষ্ণ দেব যে বানী বলেছিলেন তা আজও মন্দিরের দেওয়ালে লেখা রয়েছে ‘শঙ্করের হৃদয় মাঝে, কালি বিরাজে।’ মন্দিরের একদিকে যেমন মা সিদ্ধেশ্বরী কালী রয়েছে, অন্যদিকে রয়েছেন পুষ্পেশ্বর। রবিবার ভোর থেকেই মায়ের নিত্যনৈমিত্তিক পুজোর সঙ্গে অমাবস্যার কালী পুজো ঘিরে, ভক্তদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।