তৎক্ষণাৎ জেল হাসপাতালের ডাক্তার তাঁকে দেখে। জেল সূত্রে খবর, অক্সিজেন সিলিন্ডারও আনা হয় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর জন্যে। দফায় দফায় অক্সিজেন দেওয়া হয়। তাঁর সেলে অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখা রয়েছে বলে জেল সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের পয়লা বাইশ ওয়ার্ডের ৭ নম্বর সেলে রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
আরও পড়ুন: ‘আমাকে বাঁচতে দিন’, কাতর আর্জি খারিজ! বিচারকের এক নির্দেশেই মাথায় হাত জ্যোতিপ্রিয়র
advertisement
বৃহস্পতিবারই বিচারকের কাছে কাতর আর্জি জানিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। জোত্যিপ্ৰিয় মল্লিককে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ ইডি আদালত। আদালতের শুনানির সময়ই কাতর আর্জি শোনা যায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মুখে। ‘আমাকে বাঁচতে দিন’.. আদালতের ভার্চুয়াল শুনানি চলাকালীন হঠাৎই এমন কাতর আর্জি করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷
আরও পড়ুন: জেলে আজব দাবি তুললেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক! হঠাৎ মুখে প্রভাবশালী মন্ত্রীর নাম! কে তিনি?
বৃহস্পতিবার জ্যোতিপ্রিয় মামলার শুনানি ছিল সিটি সেশন কোর্টের ইডির বিশেষ আদালতে৷ যদিও শারীরিক ভাবে দুর্বল হওয়ায় সরাসরি আদালতে হাজির হননি জ্যোতিপ্রিয়৷ জেল থেকেই বসেছিলেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে৷ সূত্রের খবর, সেই সময়ই তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নেন বিচারক৷ বিচারকের প্রশ্নের উত্তরেই জ্যোতিপ্রিয় কাতর গলায় বলেন, ‘‘আমার ৩৫০ সুগার আছে। হাত পা নাড়াতে পারছি না। আমাকে বাঁচতে দিন।’’ বিচারক অবশ্য সব শুনে বলেন, ওঁর যদি শুনানি চলাকালীন বসে থাকতে অসুবিধা হয়, তাহলে ওঁকে সেল-এ নিয়ে যেতে পারেন৷ যদিও, জ্যোতিপ্রিয় রাজি হননি। শুনানির শেষ পর্যন্ত ছিলেন তিনি। এরপর রাতেই ফের অসুস্থ বোধ করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।