বিচারকের প্রশ্নের উত্তরেই জ্যোতিপ্রিয় কাতর গলায় বলেন, ‘‘আমার ৩৫০ সুগার আছে। হাত পা নাড়াতে পারছি না। আমাকে বাঁচতে দিন।’’ বিচারক অবশ্য সব শুনে বলেন, ওঁর যদি শুনানি চলাকালীন বসে থাকতে অসুবিধা হয়, তাহলে ওঁকে সেল-এ নিয়ে যেতে পারেন৷ যদিও, জ্যোতিপ্রিয় রাজি হননি। শুনানির শেষ পর্যন্ত ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: মহেশতলায় রাতের অন্ধকারে দোকান ঘর ঢালাই এক ব্যক্তির! রাতে কেন? কারণ শুনলে আঁতকে উঠবেন
advertisement
রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আদালতে সংজ্ঞা হারানোর পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। চিকিৎসা শেষ হলে তাঁকে ইডি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জ্যোতিপ্রিয় দাবি করেন, তাঁর শরীরের বাঁ দিকটা প্যারালিসিস হয়ে যাচ্ছে। পরে আদালতের নির্দেশে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। আপাতত সেখানেই রয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাড়িতে ভয়ঙ্কর কাণ্ড, বন্ধ হয়ে গেল কথা বলা! হাসপাতালে ভর্তি বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র
ইডি হেফাজতে থাকাকালীন বেশ কয়েকবার কমান্ড হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে রাজ্যের বনমন্ত্রীর। তবে তাঁর আইনজীবীরা দাবি করেছিলেন, ইডি হেফাজতে মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, জেল থেকে বেরতে পারছেন না জ্যোতিপ্রিয়। তাঁর শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর এদিন ভার্চুয়ালি শুনানিতে হাজির হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
এদিকে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে জেলে গিয়ে জেরা করার আবেদন জানানো হয় ইডির তরফে৷ একই সঙ্গে জেরা ও বয়ান রেকর্ড করার জন্য ডিজিটাল সামগ্রী ব্যবহারেরও অনুমতি চাওয়া হয় আদালতের কাছে৷ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আইনজীবী পাল্টা বলেন, ‘‘জামিনের আবেদন করছি না। মেডিক্যাল গ্রাউন্ড থেকে পিটিশন। কম্যান্ড হাসপাতাল বলছে তিনি স্টেবল। আমরা আবেদন করছি, মন্ত্রীর এই মুহূর্তের শরীরের অবস্থা কেমন সেই বিষয়ে জেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মেডিক্যাল রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হোক।’’