বাকিবুরের পরে ইডির নজর এবার প্রভাবশালীদের সম্পত্তির উপর। তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তির উপর নজর ইডির। জোত্যিপ্ৰিয় মল্লিক ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তির আয়ের উৎস কী? বিপুল পরিমান সম্পত্তি কি দুর্নীতির টাকায় হয়েছিল? তা খতিয়ে দেখতে ইডি আইটি নথি, ব্যাঙ্কিং নথি খতিয়ে দেখছে বলে খবর।
advertisement
আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে ইডি হানা, রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে বড় অভিযানে কেন্দ্রীয় সংস্থা!
বাকিবুরের রেশন দুর্নীতির পিছনে কোন কোন প্রভাবশালী রয়েছে, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে ইডি। ইডির দাবি, বাকিবুর রহমানের একার পক্ষে দুর্নীতি সম্ভব নয়। মিলার, ডিস্ট্রিবিউটর ও ডিলারের দ্বারা এই রেশন দুর্নীতি হয়েছে। তবে সেই টাকা কোথায় কোথায়, কোন কোন প্রভাবশালীদের কাছে গিয়েছে? তার উত্তর খুঁজছে ইডি।
আরও পড়ুন: এক নাম থেকেই যাবতীয় ‘সূত্র’, জ্যোতিপ্রিয়র বাড়িতে কেন হানা ইডির? তোলপাড় বাংলা
প্রসঙ্গত, বাকিবুর তার মামা সিরাজ বাবুর হাত ধরে ২০০৪ সালে খাদ্য দফতরের কাজ করা শুরু করে। প্রথমে চারটি শক্তিমান গাড়ি নিয়ে শুরু করেছিল তার ব্যবসা। পরে রাইস মিল থেকে ফ্লাওয়ার মিল তৈরি হয়। ইডি সূত্রে দাবি, ২০১১ সালের পর থেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে বাকিবুর। সূত্রের খবর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ হওয়ার ফলেই খাদ্য দফতরে কয়েক জন অফিসারকে হাতে নিয়ে কোয়ালিটি কন্ট্রোলের ল্যাবরেটরি হস্তগত করে বাকিবুর। এই বাকিবুর খাদ্য দফতরের প্রচুর দুর্নীতি করে টাকা রোজগার করে বলে দাবি তদন্তকারীদের।
বাকিবুর বামেদের আমলেই বেশ কিছু দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে ছিল বলে সূত্রের খবর। বাম আমল থেকেই প্রভাবশালী হয়ে ওঠে সে। তার বেঙ্গালুরুর হোটেল উদ্বোধন করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়া।