ওই মিল মালিকের মিলে তল্লাশি করে ভয়ঙ্কর সব তথ্য হাতে পেয়েছে ইডি৷ সূত্রের খবর, ভুয়ো কৃষকদের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যও আত্মসাৎ করত এঁরা৷ এই দুর্নীতির কাজেও যুক্ত ছিলেন এই ব্যক্তি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
advertisement
ইডি সূত্রে খবর, গম থেকে আটা ভাঙিয়ে রেশন ডিস্ট্রিবিউটর ও ডিলারদের কাছে সরবরাহ করার সময় অনিয়ম করা হত৷ খুচরো আটা প্যাকেটজাত হয়ে বিক্রি হতো খোলা বাজারে৷ সেখান থেকে দুর্নীতির পথে আমদানি হত লক্ষ লক্ষ টাকা৷ পাশাপাশি, চালকল মালিকদের একটা বড় অংশ সরকারি সমবায় সমিতিগুলির সঙ্গে যোগসাজশ করে কৃষকদের থেকে ধান কেনার সময়েও বড়় ধরনের দুর্নীতি করত৷ লোপাট করা হত ন্যূনতম সহায়ক মূল্যও৷
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, সমবায় সমিতিগুলি সরাসরি কৃষকদের থেকে ধান কেনে এবং যাদের থেকে ধান কেনে সেই সব কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ধান কেনার পরিমাণ অনুযায়ী সরকারের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাবদ টাকা জমা পড়ে। কিন্তু, বাকিবুর জেরায় স্বীকার করেছে, যে মিল মালিকদের একটা বড় অংশ গোপনে সরাসরি এজেন্ট মারফত কম দামে কৃষকদের থেকে ধান কিনে নিত। তারপর বিভিন্ন কৃষকদের নামে সেগুলি সমবায় সমিতিতে জমা করত।
আরও পড়ুন: ৫ মাসে ৬ বার তলব! জমা দিলেন ছ’হাজার পাতার নথি, ১ ঘণ্টার মধ্যেই বেরিয়ে এলেন অভিষেক
ধান জমা পরার পর মিল মালিকদের দেওয়া ভুয়ো কৃষকদের নাম এবং অ্যাকাউন্ট নম্বরে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাবদ টাকা জমা পড়ে যেত। সেইসব অ্যাকাউন্ট থেকে তারপরে হয় নগদ টাকা তুলে নেওয়া হত, নয়তো ওইসব অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা মিল মালিকদের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়ে যেত।
ARPITA HAZRA