শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীনই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উদ্দেশে এই প্রশ্ন করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷ তিনি জানতে চান, সিবিআই এবং ইডি-র হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ যে ছয় অভিযুক্ত রয়েছেন, তাঁদেরকে জেরা করে আর কোনও বড় নাম পেয়েছেন কি না তদন্তকারীরা৷ হেফাজতে থাকা ব্যক্তিরা তদন্তে সহযোগিতা করছেন কি না, সেই প্রশ্নও করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷
advertisement
আরও পড়ুন: গরিব মানুষের জন্য প্রকল্প চালাতে গিয়েই ডিএ-তে কোপ! মন্ত্রীর যুক্তিতে নয়া বিতর্ক
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীদের উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'হেফাজতে থাকা ছয় ব্যক্তির থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম কি সামনে আসছে? কোনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম কি হেফাজতে থাকা ব্যক্তিরা বলেছেন?'
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও মন্তব্য করেন, 'এখন নতুন কথামৃত সামনে আসছে। " যেটা ঠিক সেটা ঠিক, যেটা ভুল সেটা ভুল।" মানুষ যেন জানে না কোনটা ঠিক? আরও মন্তব্য সামনে আসবে, আদালতের বিরুদ্ধে মন্তব্য করা হবে, আমি জানি। যাঁরা নতুন কথামৃত থেকে বাণী শোনাচ্ছেন তারাও এই মামলায় যুক্ত হতে পারে।'
আরও পড়ুন: অনুব্রত নন, কোটি টাকার টিকিট কেটেছিলেন অন্য কেউ? লটারি রহস্যে নতুন মোড়
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখনও পর্যন্ত যে প্রভাবশালীরা গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য. মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো ব্যক্তিরা৷ কিন্তু এই দুর্নীতির সঙ্গে আরও বেশি প্রভাবশালী এক বা একাধিক ব্যক্তি যুক্ত থাকতে পারেন বলে আদালত মনে করছে, শুক্রবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পর তা স্পষ্ট হয়ে গেল৷
এর আগেও দ্রুত তদন্ত শেষ করে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের জন্য বার বারই সিবিআই এবং ইডি-র উদ্দেশে কড়া মন্তব্য করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷ তদন্ত ধীর গতিতে চলায় তাঁর গলায় হতাশার সুরও শোনা গিয়েছে৷
